মুখ বন্ধ রাখতেই পর্নো তারকাকে ১৩০,০০০ ডলার দিয়েছিল ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আইনজীবীর মাধ্যমে একজন পর্নো তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন বলে তারই একজন আইনজীবী জানিয়েছেন। নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র রুডি জুলিয়ানি যিনি গত মাসে ট্রাম্পের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন বুধবার এই কথা জানান। তিনি বলেন, ট্রাম্প পরে তার ওই আইনজীবীকে সেই অর্থ পরিশোধ করে দেন।
নির্বাচনের আগে মুখ বন্ধ রাখার জন্যই ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন ২০১৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামের ওই পর্নো তারকাকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলেন। ওই পর্নো তারকার আসল নাম স্টিফানি ক্লিফোর্ড।
এর আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেছিলেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সাথে এক রাত কাটিয়েছিলেন।
এখন ট্রাম্পের দাবি, কোনো ধরনের অর্থ পরিশোধের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না।
ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের বন্ধু রুডি জুলিয়ানি ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, কোহেন যে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ দিয়েছেন এটা ট্রাম্প জানতেন। ট্রাম্প পরে তাকে ওই অর্থ পরিশোধ করে দেন।
জুলিয়ানি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, অর্থ কিভাবে দেওয়া হবে এ ব্যাপারে ট্রাম্প কিছু জানতেন না। মাইকেল কোহেন যে ব্যাপারটি সামলে নিবেন সে ব্যাপারে ট্রাম্প নিশ্চিতভাবেই জানতেন।’তবে তার মতে, এর মাধ্যমে আইন ভঙ্গ হয়নি, কারণ নির্বাচনী প্রচারণার তহবিল থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউজের থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল ট্রাম্পের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিল, স্ট্রর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন কি না। এক কথায় তিনি জবাব দেন, ‘না’। কোহেন কেন ওই অর্থ দিয়েছিল জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা জানতে তাকেই প্রশ্নটা করতে হবে। কোহেন আমার আইনজীবী। তাকেই গিয়ে প্রশ্ন করুন।’
কোহেন বলেছিলেন, স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে তিনি তার নিজের পকেট থেকে অর্থ দিয়েছিলেন। এ বাবদ ট্রাম্পের কাছ থেকে তিনি কোনো অর্থ নেননি।
তবে ড্যানিয়েলসের সাথে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করে এসেছে হোয়াইট হাউজ।
ড্যানিয়েলসের দাবি ট্রাম্পের সাথে সম্পর্কের কথা ফাঁস করে তিনি আইন ভঙ্গ করেননি। কারণ ট্রাম্পের সাথে তার এ ধরনের কোনো লিখিত চুক্তিই হয়নি। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তিনি মানহানির অভিযোগ এনেছেন।
Comments