সৌদি আরবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে চায় দ. কোরিয়া

তেল রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে সৌদি আরব যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তার সঙ্গী হতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর অংশ হিসেবে সৌদি আরবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পেতে চাইছে দেশটি। দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনারও অগ্রগতি হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী পাইক উন-জিঊ ও সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী আল-ফালিহ শুক্রবার সিউলে বৈঠক করেন। ছবি: দ. কোরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে

তেল রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে সৌদি আরব যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তার সঙ্গী হতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর অংশ হিসেবে সৌদি আরবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পেতে চাইছে দেশটি। দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনারও অগ্রগতি হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে দুই দেশের জ্বালানী মন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি ছাড়াও ‘সৌদি ভিশন ২০৩০’ নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে। ৭০০ বিলিয়ন ডলারের এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও সৌদি আরবকে মধ্যপ্রাচ্যের বিনিয়োগ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে দেশটি।

সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী আল-ফালিহ ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। রাষ্ট্রায়ত্ত বৃহদায়তন তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও তিনি। এছাড়াও তিনি কিং আব্দুল্লাহ সিটি ফর এটমিক এন্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ও সৌদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ-এর প্রধান।

অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে ২০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ১,৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চায় সৌদি আরব। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজের জন্য শিগগিরই তারা তাদের প্রাথমিক পছন্দের দুই থেকে তিনটি নাম ঘোষণা করবে।

এর আগে ২০০৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০ বিলিয়ন ডলারের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ পেয়েছিল দ. কোরিয়া। এর আগ পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন কাজে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্সের আধিপত্য ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে চুক্তির মাধ্যমে নতুন প্রতিযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয় দক্ষিণ কোরিয়া। সূত্র: কোরিয়ান টাইমস

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago