২৫ মে শান্তিনিকেতন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করতে শান্তিনিকেতনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৫ মে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও বিশেষ অতিথি হিসাবে তিনি যোগ দেবেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৈরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আচার্য ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ভবনেরও উদ্বোধন করবেন। মূলত এই কারণেই তার শান্তিনিকেতন সফর। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন। শনিবার রাতে টেলিফোনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সবুজকলি সেন।
তিনি আরও বলেন, যদিও আজও (শনিবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত) এ সংক্রান্ত কোনও কাগজ পাইনি। তবে আমি দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েছি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। শুধু তাই নয়, ওই অনুষ্ঠানের তারা দুজনই বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন। সবুজ কলি সেন বলেন, ওই অনুষ্ঠানের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও উপস্থিত থাকতে পারেন। তাকেও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হচ্ছে।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এ ভবন নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপরই বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের জন্য বিশ্বভারতী দুই বিঘা জমি দান করে। বাংলাদেশ সরকার ভবন নির্মাণের জন্য দেয় ২৫ কোটি রুপি। তবে নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৫ সালের শেষ দিকে। এখন ভবনের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ।
বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতির তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ ভবনে। সেখানে থাকবে সুবিশাল একটি লাইব্রেরি, আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার এবং শহীদ মিনার। ভবনের প্রবেশ দ্বারের দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি মুরালও বসানো হচ্ছে।
Comments