পশ্চিমবঙ্গে আসছে ধূলিঝড় ‘আঁধি’

ভারতের রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যের পর এবার বজ্র-বিদ্যুৎসহ প্রবল ধূলিঝড় এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর প্রতিবেশী চারটি রাজ্যে। এই ধূলিঝড় ও বৃষ্টিপাত নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে রাজ্যগুলোকে।
Dust storm in India
গত সপ্তাহে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ধূলিঝড়ে শতাধিক নিহত হন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যের পর এবার বজ্র-বিদ্যুৎসহ প্রবল ধূলিঝড় এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর প্রতিবেশী চারটি রাজ্যে। এই ধূলিঝড় ও বৃষ্টিপাত নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে রাজ্যগুলোকে।

এমন সতর্কবার্তার খবরের সত্যতা মেনেই কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আজ (৬ মে) নিশ্চিত করছে যে, বায়ুমণ্ডলে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়েছে। আর তা থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতি বেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হতে পারে।

রাজধানী কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা এবং হুগলী জেলায় শুধুমাত্র এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ঝড়ের প্রবাহ পড়বে রাজধানী শহর এবং তার আশেপাশের এলাকাতেও।

দিল্লির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর ‘মৌসুম ভবন’ থেকে এই ঝড় সম্পর্কে আগাম তথ্য গণমাধ্যমগুলোকে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গের অভিমুখে যে ধূলি-ঝড় আসছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আঁধি’। সেই ঝড় ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগ সম্পন্ন পারে।

হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল হয়েই ‘আঁধি’ পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসছে বলেও জানানো হয়।

আবহাওয়ার রুটিন ধরলে, অনেকেই এই ঝড়কে ‘প্রাক মৌসুমি বৃষ্টিপাত’ বলেও মনে করতে পারবেন। তবে এ সময় প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ধূলি-ঝড়ও হবে।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা কুলদীপ শ্রীবাস্তব বলেন, পশ্চিম বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প তৈরির ফলে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। তাছাড়া পারিপার্শ্বিক ধুলো-ঝড় এতে বাড়তি ইন্ধনও দিচ্ছে। এর ফলেই প্রবল গতিবেগে ঝড়ের সঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

উত্তর-পশ্চিম ভারতের দিল্লি, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু অঞ্চলে গ্রীষ্মকালের বিকাল বেলার দিকে কখনও কখনও এক রকমের ধূলি-ঝড় প্রবাহিত হতে থাকে, যাকে আবহাওয়ার ভাষায় ‘আঁধি’ বলা হয়ে থাকে। ‘আঁধি’-র সময় বাতাস পরিচলন পদ্ধতিতে প্রচুর পরিমাণে ধূলিকণা সংগ্রহ করে প্রতি ঘণ্টায় ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে থাকে। ‘আঁধি’ প্রবাহিত হলে বায়ুর তাপমাত্রা কমে যায়।

ইতোমধ্যে এমন প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটির উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবার সেই আশঙ্কাই দেখা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উড়িষ্যা রাজ্যেও।

Comments