৩০ বছর পরও আমির খানের আফসোস!

ঠিক ত্রিশ বছর পেছনে ফিরে দেখা। ১৯৮০ দশকের শেষের দিকে বলিউডের আকাশে স্বরূপে আবির্ভাব হয়েছিলো এক জোড়া নতুন নক্ষত্র। সেই তারকারা হলেন আমির খান ও জুহি চাওলা। ‘কিয়ামত সে কিয়ামত তক’-এ অভিনয় করে এই জুটি বলিউড-প্রেমীদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেন।
qayamat se qayamat tak
‘কিয়ামত সে কিয়ামত তক’-এর একটি দৃশ্যে আমির খান ও জুহি চাওলা। ছবি: সংগৃহীত

ঠিক ত্রিশ বছর পেছনে ফিরে দেখা। ১৯৮০ দশকের শেষের দিকে বলিউডের আকাশে স্বরূপে আবির্ভাব হয়েছিলো এক জোড়া নতুন নক্ষত্র। সেই তারকারা হলেন আমির খান ও জুহি চাওলা। ‘কিয়ামত সে কিয়ামত তক’-এ অভিনয় করে এই জুটি বলিউড-প্রেমীদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেন।

কিন্তু, তারকা-খ্যাতি এনে দেওয়া সেই বিয়োগান্তক প্রেম- নির্ভর চলচ্চিত্রটিতে নিজের অভিনয় নিয়ে আমিরের এখনো বেশ আফসোস রয়ে গেছে।

মনসুর খান পরিচালিত ও নাসির হোসেন প্রযোজিত ‘কিয়ামত সে কিয়ামত তক’ মুক্তি পায় ১৯৮৮ সালের ২৯ এপ্রিল। মুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতের মুম্বাইয়ে ছবিটির একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল গতরাতে (১৩ মে)। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এর পরিচালক-প্রযোজক, শিল্পী-কলাকুশলীসহ অনেকেই।

অনুষ্ঠানে আমির বলেন, “যখন আমার পুরনো কাজগুলো দেখি, তখন সেগুলো আর ভালো লাগে না। এখন মনে হয় সেগুলোতে আরও ভালো অভিনয় করার সুযোগ ছিল। বিশেষ করে এই ‘কিয়ামত সে কিয়ামত তক’ ছবিটিতে জুহির অভিনয় আমার ভালো লেগেছে। তাঁর অভিনয় ছিল স্বাভাবিক, চমৎকার। কিছু দৃশ্যে আমার অভিনয় ঠিক আছে বলে মনে হয়, তবে কিছু দৃশ্যে তা মানসম্মত হয়নি। কাঁচা অভিনয় হয়েছে। সংলাপগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে।”



 

‘দঙ্গল’-খ্যাত এই মহাতারকা মনে করেন, এখন যদি ‘কিয়ামত সে কিয়ামত তক’-এ তাঁর দৃশ্যগুলো আবার শুট করা হয় তাহলে তিনি তা করতে প্রস্তুত রয়েছেন। কেননা, তাঁর অভিনয় ভালো হয়েছে এমনটি মনে করেন না ‘ধনরাজ সিংয়ের ছেলে রাজ’।

বলেন, “আমার বিশ্বাস ছিল- ছবিটি যখন মুক্তি পাবে তখন দর্শকরা জুহির অভিনয় পছন্দ করবেন। আমার অভিনয় প্রশংসিত হবে না। কেননা, সেই অভিনয় আমার নিজেরই ভালো লাগেনি। ‘কিয়ামত সে কিয়ামত তক’-এ নিজের অভিনয় নিয়ে আমার আফসোস এখনো রয়ে গেছে। কিন্তু, কেন জানি দর্শকরা আমার অভিনয় মেনে নিয়েছেন। হয়তো আমি সৌভাগ্যবান, তাই!”

তথ্যসূত্র: ডেকান ক্রনিকল

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago