রান বন্যার ম্যাচে সাকিবদের হার
জ্বলে উঠেছিলেন এভিডি ভিলিয়ার্স, মঈন আলি, কলিন ডি গ্রুমরা। তাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গলুরুর সংগ্রহ ছড়িয়েছিল দুশোর কোটা। ওই রান তাড়ায় ফর্মে থাকা কেইন উইলিয়ামসের খেললেন তার মতই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারল না সাকিব আল হাসানের দল।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করে ২১৮ রান করে বেঙ্গালুরু। ওই রান তাড়ায় ২০৪ রানে থেমেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ইনিংস। এই জয়ে শেষ চারের আশা জিইয়ে রেখেছে বিরাট কোহলির দল।
টস জিতে বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে শুরুটা ভালোই পেয়েছিল সাকিবরা। ৩৮ রানে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রশিদ খান ও সন্দীপ শর্মা।তবে তিন আর চারে নামা এভিডি ভিলিয়ার্স ও মঈন আলি গড়ে দেন বড় সংগ্রহের ভিত। ৩৯ বলে ৬৯ করা ভিলিয়ার্স ও ৩৪ বলে ৬৫ করা মঈন আলিকে আউট করে হায়দরাবাদকে খেলায় ফেরান রশিদ। বাকি বোলারদের মার খাওয়ার দিনেও উজ্জ্বল ছিলেন এই লেগ স্পিনার। ৪ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে দেন ৩ উইকেট।
রশিদ পারলেও দিনটি ভালো যায়নি সাকিবের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার থেকে দিয়েছেন ৩৫ রান। তবে সবচেয়ে তাণ্ডব গেছে বিসাল থাম্পির উপর দিয়ে। ওই মিডিয়াম পেসার দেদারসে বিলিয়েছেন রান। ৪ ওভার থেকেই দেন ৭০ রান। শেষ দিকে এই তাণ্ডবের নায়ক অবশ্য কলিন ডি গ্রুম। কিউই এই ব্যাটসম্যান শেষ ওভারে ১৭ বলে ৪০ রান করে আউট হয়েছেন।
২১৯ রানের লক্ষ্যে দারুণ শুরু পায় সানরাইজার্সও। দুই ওপেনারের এনে দেওয়া ভালো শুরু টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন উইলিয়ামসন ও মানিষ পান্ডে। শেষ পর্যন্ত খেলেও তারা জেতাতে পারেননি দলকে। ৪২ বলে ৮১ রান করে একদম শেষ ওভারে আউট হন উইলিয়ামসন। পান্ডে আর আউটই হননি। তার ৩৮ বলে ৬২ রানের ইনিংসেও জেতেনি দল। বোলিংয়ে সাদামাটা দিনে আর ব্যাটিং পাননি সাকিব।
Comments