তেতো কথায় কান না দিয়ে অনুশীলনে মন সৌম্যর
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ডাকাবুকো পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু দুবছর যেতেই পড়ে যায় তার ফর্ম। মাঝে মাঝে নিজের সেরা ছন্দ ফিরে পান, কিন্তু আবার খেই হারান। এভাবে চলতে থাকায় বাদ পড়েছেন ওয়ানডে ও টেস্ট থেকে। কেবল টিকে আছেন টি-টোয়েন্টিতে। সেখানেই হারিয়েছেন তাল, এতে বিস্তর সমালোচনা শুনতে হচ্ছে তাকে। ওসব সমালোচনায় আপাতত কান দিতে চান না তিনি।
গত বছর দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান ছিল সৌম্যের। এ বছরও শুরুটা করেছিলেন ভালো। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি করার পর আবার হারিয়ে ফেলেন নিজেকে। নিদহাস কাপে হয়েছেন আগাগোড়া ব্যর্থ। পাঁচ ম্যাচে করেছেন মোটে ৫০ রান। ব্যাটিংয়ের আগ্রাসী ধরণের জন্য আফগানিস্তান সিরিজের দলেও তাকে রেখেছেন নির্বাচকরা।
ভালো না হলে যা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে হচ্ছে আপত্তিকর ট্রল। শুনতে হচ্ছে মানুষের সমালোচনা। এসব উপেক্ষা করে অনুশীলনে জোর দিতে চান তিনি, ‘শেষ কয়েক ম্যাচ তো ভালো করিনি। নিজের কাছে তাদিগ থাকে ভালো করার। তারপর মানুষের কথা শুনলে মনে হয় আসলেই খারাপ খেলছি। যত কথা শুনি তত মনে পড়ে। চেষ্টা করি এসব না শুনে অনুশীলনে জোর দিতে।’
হুট করে এক ম্যাচে দারুণ খেলে পরের ম্যাচে খেই হারানোর রোগ সারাতে পরিশ্রমেই চোখ তার, ‘সবাই চায় ভালো করার জন্য। প্রত্যেকদিনই তো ভাল করা যায় না। প্রত্যেকদিন ভালো করলে চাওয়া-পাওয়ার শক্তিটা কমে যায়। যেহেতু খারাপ সময় দিয়ে যাচ্ছি, ওখান থেকে কে কতটা কঠোর পরিশ্রম করে আগাতে পারি ওটাই চিন্তা করি।’
নিদহাস কাপে ডান-বাম কম্বিনেশন করতে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করেছেন লিটন দাস। সেজন্য পাঁচে নামতে হয়েছে সৌম্যকে। আফগানিস্তান সিরিজেও তেমনটি হতে পারে। নিজের পছন্দের ব্যাটিং অর্ডার না পেলেও দলের চাহিদাকেই বড় করে দেখছেন তিনি, ‘খেললে তো সব জায়গায় খেলতে হবে। দল যদি মনে করে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে হবে তাহলে সেখানেই করতে হবে। এখানে পারফর্ম করতে হবে, রান করতে হবে।’
Comments