বিশ্বভারতীতে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন

উদ্বোধন করা হলো ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত ‘বাংলাদেশ ভবন’। আজ ভারতীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ভবনটি উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন শেষে তাঁরা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেখানেও উপস্থিত ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত চার হাজার ১০০ বর্গ মিটারের এই ‘বাংলাদেশ ভবন’-এ রয়েছে দুটি সেমিনার হল, একটি লাইব্রেরি, একটি জাদুঘর, একটি স্টাডি সেন্টার, একটি ক্যাফেটারিয়া এবং ৪৫৩ আসন বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম।
বাংলাদেশ ভবনের পুরো দায়িত্ব বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত জাদুঘর এবং লাইব্রেরি নিজেদের তত্ত্বাবধানে রাখা হবে বলে জানিয়েছিলেন আসাদুজ্জামান নূর।
তিনি জানান, জাদুঘরটিতে কমবেশি ছবির সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেলেও ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর লাইব্রেরিতে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার বই স্থান পেয়েছে। তবে এই লাইব্রেরিতে কমপক্ষে ১০ হাজার বই রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
‘বাংলাদেশ ভবন’-এর জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছাড়াও জাতীয় নেতাদের ছবি স্থান পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়াও, শিলাইদহে যে নৌকায় ভ্রমণ করে অসংখ্য রচনা করেছিলেন বিশ্বকবি সেই নৌকার একটি রেপ্লিকাও রাখা হয়েছে জাদুঘরে।
Comments