দুই মামলায় জামিন পেলেন খালেদা, একটি আবেদন খারিজ
কুমিল্লায় নাশকতার দুই মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে নড়াইলে মানহানির অপর এক মামলায় তার জামিন আবেদন খারিজ হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছেন।
২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে খালেদার বিরুদ্ধে মামলা হয়। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে ৮ ব্যক্তিকে হত্যা ও আরও ২৫-২৬ জনকে দগ্ধ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অপর মামলাটি দায়ের করা হয়। এই দুটি মামলায় হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর, ২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নড়াইল আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আদালত বলেন, ‘আবেদনটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা ঘোষণার পর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন খালেদা। দেশের অন্যান্য জায়গায় এখনো তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। ফলে, এখনই জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ বশিরুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, কুমিল্লার দুটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালেদার জামিন মঞ্জুরের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার।
Comments