শিশুটি বাঁচল, যুবকের দুঃসাহসিকতায়

প্যারিসের উত্তরে একটি চারতলা ভবনের বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়ার সময় রেলিং ধরে ঝুলে থাকা শিশুকে বাঁচিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন মালি থেকে আসা এক শরণার্থী যুবক।
মোহাম্মদ গাসসাম
ঝুলে থাকা শিশুকে বাঁচাতে বারান্দা বেয়ে উঠছেন গাসসাম। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

প্যারিসের উত্তরে একটি চারতলা ভবনের বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়ার সময় রেলিং ধরে ঝুলে থাকা শিশুকে বাঁচিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন মালি থেকে আসা এক শরণার্থী যুবক।

রোববার এই দুঃসাহসিক কাজ করে মেয়রের চোখে পড়ে যান মোহাম্মদ গাসসাম নামের ২২ বছর বয়সী ফ্রান্সে ‘আশ্রয় প্রত্যাশী’ ছেলেটি।

ইতিমধ্যে গাসসামের সেই বীরত্বের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি খুব দ্রুত ভবন বেয়ে উপরে উঠে গিয়ে শিশুটিকে ধরে বারান্দায় তুলে দিচ্ছেন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ তার কার্যালয়ে গাসসামকে আমন্ত্রণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা।

প্যারিসের মেয়র আনা হিদালগো এই বীরত্বের প্রশংসা করে তার অফিশিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে একটি টুইট করেন। তিনি লিখেন, ‘বীরত্বপূর্ণ এই কাজের জন্য মোহাম্মদ গাসসামকে অভিনন্দন। আমি তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে ধন্যবাদও জানিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফ্রান্সে আশ্রয় পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা তাকে সাহায্য করব।’

হিদালগোর টুইটার থেকে আরও জানা যায়, কয়েক মাস আগেই ছেলেটি মালি থেকে ফ্রান্সে আশ্রয়ের জন্য এসেছেন।

‘আমি তাকে বলেছি তার এই বীরত্বপূর্ণ কাজ প্যারিসের নাগরিকদের কাছে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে এবং প্যারিস তাকে ফ্রান্সে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে,’ টুইটারে বলেন তিনি।

ফ্রান্সের মন্ত্রী ও সরকারের সাবেক মুখপাত্র ক্রিস্টোফার কাস্টনার আলাদা এক টুইটে বলেন, ‘ছেলেটি নিজের জীবনের চিন্তা না করে শিশুটিকে বাঁচিয়েছেন। এটা প্রশংসার দাবিদার।’

লা প্যারিসেন নামের এক খবরের কাগজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভবনটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভিড় দেখে থামেন গাসসাম। এরপর আর সময় নষ্ট না করে উঠে যান ভবন বেয়ে।

গাসসাম লা প্যারিসেনকে বলেন, ‘শিশুটির জন্যই আমি ঝুঁকি নিয়েছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ তাকে বাঁচাতে পেরেছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago