রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার চুক্তি হতে যাচ্ছে

rohingya refugees
মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্যে মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন কমসূচি (ইউএনডিপি)।

জাতিসংঘের সংস্থা দুটির এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল (৩১ মে) মিয়ানমারের রাজধানী নেপিতাও এ দেশটির সরকারের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির বিষয়বস্তুর বিষয়ে একমত হয়েছে ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপি।

যদিও এখনো চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ নিশ্চিত করা হয়নি তথাপি পরিকল্পনা রয়েছে আগামী সপ্তাহে তা স্বাক্ষরিত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক নির্যাতিত হয়ে দেশছাড়া রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে অথবা তাদের পছন্দ মতো জায়গায় স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে নিরাপদ ও উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্যে একটি রূপরেখা তৈরি করবে।

যেহেতু, শরণার্থীদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের অবস্থা এখনো তৈরি হয়নি, তাই এই স্মারকটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমার সরকারের প্রচেষ্টার জন্যে সহায়ক হবে। দেশটির রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী সব সম্প্রদায়ের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এই চুক্তিটিকে প্রথম ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এই চুক্তিটির রূপরেখায় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বিতাড়িত হওয়ার আগের বাসস্থানগুলো পরিদর্শনের জন্যে ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপিকে অনুমতি দেওয়ার কথা রয়েছে।

জাতিসংঘের সেই সংস্থা দুটি সংঘাত কবলিত রাখাইন রাজ্য পরিদর্শন করে সেখানকার পরিস্থিতি শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্যে উপযুক্ত করে তুলতে কী কী প্রয়োজন তার একটি তালিকা করবে।

এছাড়া, স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্যে স্থানীয় প্রশাসনকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়গুলোও সমঝোতা স্মারকে রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য যে মিয়ানমারে বিভিন্ন সময় জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে অন্তত ১১ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

'We know how to fight through adversity': Women footballers eye world stage

Captain Afeida Khandakar, her voice steady with emotion, said: “This is a moment we will never forget."

2h ago