হলুদের রাজা আর্জেন্টিনা, লালে ব্রাজিল

১৯৬৬ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ইংলিশদের আটকাতে বেশ আগ্রাসী মেজাজই নিয়েছিলো আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচের জের ধরেই প্রচলন হয় কার্ডের। ১৯৭০ সালে শুরু। এরপর এখন পর্যন্ত ১২টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সে মেজাজ এখনও ধরে রেখেছে আর্জেন্টাইনরা। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১২০টি কার্ড যে পেয়েছে তারাই। তবে তাদের ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১১টি লাল কার্ড দেখেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল।
card
ফাইল ছবি : এএফপি

১৯৬৬ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ইংলিশদের আটকাতে বেশ আগ্রাসী মেজাজই নিয়েছিলো আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচের জের ধরেই প্রচলন হয় কার্ডের। ১৯৭০ সালে শুরু। এরপর এখন পর্যন্ত ১২টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সে মেজাজ এখনও ধরে রেখেছে আর্জেন্টাইনরা। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১২০টি কার্ড যে পেয়েছে তারাই। তবে তাদের ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১১টি লাল কার্ড দেখেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল।

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৭৭টি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। তাতে মোট ১২০টি কার্ড দেখেছে দেশটির খেলোয়াড়রা। এর মধ্যে হলুদ কার্ড ১১১টি। সবচেয়ে হলুদ কার্ড দেখার রেকর্ডও এটি। বাকি নয়টি লাল কার্ড। এর মধ্যে অবশ্য একটি লাল কার্ড হয়েছে দুটি হলুদ কার্ড দেখার কারণে।

হলুদ কার্ড দেখার দিকে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা এগিয়ে থাকলেও সর্বাধিক লাল কার্ড দেখেছে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা। মোট ১১বার বহিষ্কার হয়েছে দেশটির খেলোয়াড়রা। এর মধ্যে অবশ্য তাদের একটি লাল কার্ড হয়েছে দুটি হলুদ কার্ড দেখার কারণে। সবমিলিয়ে তাদের কার্ড সংখ্যা ১০৮টি। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে তারা।

দ্বিতীয় স্থানে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। মোট ১১৭টি কার্ড দেখেছে জার্মান খেলোয়াড়রা। এর মধ্যে ৭টি লাল কার্ড। দু’টি লাল কার্ড হয়েছে দুই বার হলুদ কার্ড দেখায়। এছাড়া ইতালি ৯৮, নেদারল্যান্ডস ৯৭ ও মেক্সিকোর খেলোয়াড়রা ৭৪টি কার্ড দেখেছে বিশ্বকাপে।

তবে সবচেয়ে বেশি ৩১টি ম্যাচ খেলে এখনও সরাসরি কোনও লাল কার্ড দেখেনি পোল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। দুটি হলুদ কার্ডের কারণে একবার লাল কার্ড দেখেছিলো দলটি।

প্রসঙ্গত, হলুদ কার্ডের হিসেব ১৯৭০ সাল থেকে হলেও লাল কার্ডের হিসেবটা হয় ১৯৩০ থেকে। কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে লাল কার্ড না থাকলেও তখন থেকেই মারাত্মক কোন ফাউলের জন্য খেলোয়াড়দের বহিষ্কার করতে পারতেন রেফারিরা।

Comments