সুয়ারেজ-সালাহর ‘এ’ গ্রুপে ফেভারিট নয় কেউই

আর মাত্র ১০ দিন পর রাশিয়ায় শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। এরমধ্যেই ফুটবল উম্মাদনা শুরু হয়ে গেছে ভক্তদের মধ্যে। পছন্দের দলগুলো গ্রুপ পর্বে কেমন করবে কিংবা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো কেমন করবে এ নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। ৩২ দল খেলবে ৮ গ্রুপে ভাগ হয়ে । গ্রুপ ‘এ’ তে স্বাগতিক রাশিয়ার সঙ্গে আছে মিশর, সৌদি আরব ও দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। দেখে নেওয়া যাক ‘এ’ গ্রুপের হিসেব নিকেস।
group-a
গ্রুপ 'এ'র চারটি দল। ছবি : স্টার

আর মাত্র ১০ দিন পর রাশিয়ায় শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। এরমধ্যেই ফুটবল উম্মাদনা শুরু হয়ে গেছে ভক্তদের মধ্যে। পছন্দের দলগুলো গ্রুপ পর্বে কেমন করবে কিংবা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো কেমন করবে এ নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। ৩২ দল খেলবে ৮ গ্রুপে ভাগ হয়ে । গ্রুপ ‘এ’ তে স্বাগতিক রাশিয়ার সঙ্গে আছে মিশর, সৌদি আরব ও দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। দেখে নেওয়া যাক ‘এ’ গ্রুপের হিসেব নিকেস।

এই গ্রুপের দলগুলোর মধ্যে নামে ভারে কিছুটা এগিয়ে উরুগুয়ে। বাকি তিন দলের শক্তিমত্তা প্রায় সমান। তাই ফেভারিট তকমা হায়ে নেই কারো। ১৪ জুন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক রাশিয়া-সৌদি আরব ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ।

উরুগুয়ে

ফুটবল খেলার প্রচলনের সময় থেকেই দাপট দেখানো শুরু উরুগুয়ের। বিশ্বকাপের প্রথম চ্যাম্পিয়নও তারা। জিতেছে ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপও। তবে ওইটাই শেষ। এরপর আর অতো উঁচুতে যেতে পারেনি। তারপরও ঐতিহ্যের কারণেই এগিয়ে আছে দলটি। মোট ১২টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে তারা। সাম্প্রতিক সময়েও দারুণ খেলছে তারা। বার্সেলোনা তারকা লুইস সুয়ারেজ নিঃসন্দেহে দলের সেরা তারকা। এছাড়াও পিএসজি তারকা এডিসন কাভানিও কম যান না। এ দুই তারকা জ্বলে উঠলে অনেক দূর যেতে পারে লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়ে।

দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের রক্ষণভাগও বেশ শক্তিশালী। আছেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের দিয়াগো গডিনের মতো ডিফেন্ডার।

ফিফা র‍্যাংকিং :  ১৭।

রাশিয়া

‘এ’ গ্রুপে উরুগুয়ের পর স্বাগতিক রাশিয়ার বিশ্বকাপ ঐতিহ্যটা সমৃদ্ধ। তবে খুব একটা যে টইটুম্বুর, তাও নয়। ১১টি বিশ্বকাপে খেলেছে তারা। ১৯৬৬ সালে তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়ন নামে শেষ চারে উঠতে পারাই হয়ে আছে সেরা সাফল্য। সেবার রাশানদের অতোদূর টেনে নেওয়ার কারিগর ছিলেন কিংবদন্তি গোলরক্ষক লেভ ইয়াসিন।

ইয়াসিনের পথ ধরে এবারও একজন গোলরক্ষকই তাদের তুরুপের তাস। স্বাগতিকরা তাকিয়ে থাকবে সিএসকেএ মস্কোর গোলরক্ষক ইগোর আকিনফেভের দিকে। দলের অধিনায়কও অভিজ্ঞও এ খেলোয়াড়। এছাড়াও তার ক্লাব সতীর্থ অ্যালেক্সান্ডার গোলোভিনও বদলে দিতে পারেন পাশা। আর স্বাগতিক হওয়ার কারণে বাড়তি সুবিধা তো তারা পাচ্ছেই। ঘরের চেনা মাঠে থাকবে ভরপুর গ্যালারির সমর্থন। রাশিয়া বিপদজনক হতে পারে যেকোন প্রতিপক্ষের জন্য।

ফিফা র‍্যাংকিং : ৬৬

মিশর

আফ্রিকা থেকে মিশরই সবার প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিল। তাও সেটা সেই ১৯৩৪ সালে। এরপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ঠাঁই হয়েছিল ১৯৯০ বিশ্বকাপে। আরেকটা লম্বা ঘুম দিয়ে মিশরের ফুটবল ইতিহাসে যোগ হয়েছে নতুন পালক। ৩৮ বছর পর মিশরকে বিশ্বকাপে এবার নিয়ে এসেছেন লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ। ‘এ’ গ্রুপের সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকাও বলা যায় তাকে। কিন্তু দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ফুটবলার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পাওয়া চোটে আছেন মাঠের বাইরে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে বিশ্বকাপের মূলপর্বে পাওয়ার আশা মিশর দলের চিকিৎসকের।

সালাহ সেরে উঠলে এই গ্রুপে মিশরকে নিয়ে বাজি ধরতে চাইবেন যেকেউ।

ফিফা র‍্যাংকিং : ৪৬

সৌদি আরব

এই গ্রুপে নামে ভারে সবচেয়ে দুর্বল দল সৌদি আরব। তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসও তেমন ঝলমলে নয়। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার পর টানা চার আসরে ছিল এশিয়ার দেশ সৌদি আরব। খেলতে পারেনি ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে। এক যুগ পর বিশ্বকাপে ফেরা সৌদি অঘটন ঘটিয়ে পালটে দিতে পারে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার সমীকরণ।

তাদের সেরা খেলোয়াড় আবু নাসেরের স্ট্রাইকার মোহাম্মদ আল সাহলাউই দুর্দান্ত খেলেছেন বাছাই পর্বে। দিয়েছেন ১৬ গোল। পোল্যান্ডের রবার্ট লেভানডস্কি এবং আরব আমিরাতের আহমেদ খলিলের সঙ্গে যৌথভাবে বাছাই পর্বের সেরা গোল দাতাও তিনি। বিশ্বকাপেও তার পা জোড়ার দিকে তাকিয়ে সৌদির মানুষ। এছাড়া আল ইত্তিহাদ তারকা ফাহাদ আল মুয়ালেদও দেখাতে পারেন ঝলক।

ফিফা র‍্যাংকিং :  ৬৭

গ্রুপ প্রেডিকশন : দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে- উরুগুয়ে ও রাশিয়া।

Comments