‘কেমন যেন লাগছে, বাংলাদেশ দল মনেই হচ্ছে না’

আফগানিস্তানের সঙ্গে বাজেভাবে হারা বাংলাদেশকে অচেনা মনে হচ্ছে বিসিব প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের কাছে। লড়াই করতে না পারায়, ভুলেভরা ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ দেখে সাকিব আল হাসানদের নিয়ে প্রচণ্ড হতাশা জানিয়েছেন তিনি।
Nazmul Hasan papon
ফাইল ছবি

আফগানিস্তানের সঙ্গে বাজেভাবে হারা বাংলাদেশকে অচেনা মনে হচ্ছে বিসিব প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের কাছে। লড়াই করতে না পারা আর ভুলেভরা ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ দেখে সাকিব আল হাসানদের নিয়ে প্রচণ্ড হতাশা জানিয়েছেন তিনি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার শেষ ম্যাচের আগের দিন নিজের গুলশানের বাসায় হতাশার কথা জানান বিসিবি প্রধান, ‘আসলে এটা খুব হতাশাজনক। নিদহাস কাপের আগে বাংলাদেশে যে সিরিজটা (শ্রীলঙ্কা সিরিজ) হলো। একেবারে সেইম পুনরাবৃত্তি দেখেছি।’

দলের এমন হালের জন্য কোচহীন না থাকার দিকে ইঙ্গিত তার। আগের কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের কঠোর নিয়ম কানুন থেকে হুট করে মুক্ত হতে ক্রিকেটাররা তাল রাখতে পারছেন না বলে মনে হচ্ছে বোর্ড প্রধানের, ‘একটা জিনিস হতে পারে। যেহেতু ওদের একদম কঠোর নিয়ম কানুন মেনে চলতে হতো আগে, এইরকম একটা পরিবেশ থেকে হুট করেই মুক্ত একটা পরিবেশ পেলে যা হয় তাতে করে হয়ত (সমস্যা) হতেও পারে।’

তবে কারণ যাই হোক আফগানিস্তানের সঙ্গে নাস্তানাবুদ বাংলাদেশকে একদম অচেনা লাগছে তার, ‘শ্রীলঙ্কাতে তো আমি নিদহাস কাপে ওদের সঙ্গে ছিলাম এবং ওরা ভালোই খেলেছে। আমি বলছি না যে খুব ভালো খেলেছে বাট ভালো খেলেছে। সেখানে হারাতে কিন্তু কেউ তাদের কিছু বলেনি। কিন্তু এখানে কেমন যেন লাগছে। এটা বাংলাদেশ দল আমার কাছে মনেই হচ্ছে না।’

বোর্ড প্রধান এই হারে দায় দেখছেন ব্যাটসম্যানদের। বিশেষ করে সিনিয়র ক্রিকেটারদের দিকেই তার আঙুল,  ‘১২০-৩০ রান করে টি-টোয়েন্টিতে কেউ জেতার আশা করে আমার মনে হয় এটা ঠিক হবে না। এটা খুবই কম স্কোর। আফগানিস্তানের বোলিং হতে পারে খুব ভাল। রশিদ খান বিশ্বমানের, কেউ অস্বীকার করে না। তারপরও ১৫০-৬০ হবে না এটা কখনো মনে হয়নি। ’

‘যখনই মনে হচ্ছে আমরা সেট হচ্ছি, দল বড় স্কোরের দিকে যাচ্ছে তখনই উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসছি। আমাদের সিনিয়র প্লেয়াররা যেভাবে আউট হয়েছে... রশিদকে ছয় মারতে গিয়ে আউট হওয়া... এগুলো কোনভাবে মিলে না।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago