একরাম হত্যা: টেকনাফ আওয়ামী লীগের জরুরি সভা স্থগিত

ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ফোনের পর টেকনাফ আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির একটি জরুরি সভা স্থগিত করা হয়েছে। কথিত বন্দুকযুদ্ধে একরাম নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে গতকাল বুধবার এই সভা হওয়ার কথা ছিল।
একরামুল হক

ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ফোনের পর টেকনাফ আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির একটি জরুরি সভা স্থগিত করা হয়েছে। কথিত বন্দুকযুদ্ধে একরাম নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে গতকাল বুধবার এই সভা হওয়ার কথা ছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষমতাসীন দলটির স্থানীয় একজন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান মঙ্গলবার রাতে দুজন কেন্দ্রীয় নেতা ফোন করে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কানাডা সফর শেষে দেশে ফেরার পরই এই বৈঠক হবে।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বাশার গতকালের বৈঠকটি স্থগিত হওয়ার কথা দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন।

টেকনাফ আওয়ামী লীগের আরেকজন নেতা বলেন, দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা হয়ত মনে করেন একরাম নিহত হওয়ার ঘটনা, আব্দুর রহমান বদির ভূমিকা, প্রধানমন্ত্রীকে ছাড়া এসব নিয়ে আলোচনা করলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে।

জি-৭ সম্মেলনের আউটরিচ বৈঠকে যোগ দিতে কানাডার উদ্দেশে আজ ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১২ জুন তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার কক্সবাজার যুবলীগের দুজন শীর্ষ নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করে বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত একরামুল হককে তারা গত ১২/১৩ বছর থেকে চেনেন। একরাম মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন কোনো আলামত তারা কখনই পাননি। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

রাত ৯টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় বৈঠক শেষে কক্সবাজার যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘একরাম নিজেই সচ্ছল ছিলেন না। তাকে কখনই মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে দেখা যায়নি।’ ২০ মিনিটের ওই বৈঠকে কক্সবাজার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

বাহাদুর বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন ইতিমধ্যে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেছেন।

২৭ মে র‍্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একরাম নিহত হয়েছেন। এর পর ৩১ মে একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ‘ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে।’ সে সময় তিনি তার দাবির পক্ষে চারটি অডিও ক্লিপ উপস্থিত সাংবাদিকদের দেন।

অডিও ক্লিপগুলো প্রকাশের পর একরামের মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৈচৈ সৃষ্টি হলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই ঘটনার তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪ জুন একরামের স্ত্রী আয়েশার সঙ্গে কথা বলেন। তবে কী কথা হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

একরামের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago