রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ১১ জনের প্রাণহানি

রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে পাহাড় ধসে অন্তত ১০ জন ও কক্সবাজারের মহেশখালীতে অনুরূপ ঘটনায় একজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একটি দুই মাসের শিশুও রয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পর আজ সকালে পাহাড় ধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটল।
নিহতরা হলেন, নানিয়ারচর উপজেলার সাবেকং ইউনিয়নের বড় কুল পাড়ার সুরেন্দ্র লাল চাকমা (৪৮), তার স্ত্রী রাজ্য দেবী চাকমা (৪৫), তাদের নয় বছরের মেয়ে সোনালী চাকমা ও রুমেন চাকমা নামের ১২ বছরের এক ছেলে। এছাড়াও হাতিমারা গ্রামে দুজন ও সিয়াল্লি পাড়া গ্রামে আরও চার জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
হাতিমারা গ্রামের নিহতরা হলেন, রিতা চাকমা ও রিতেন চাকমা। সিয়াল্লি পাড়া গ্রামের নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। দুই মাসের শিশুটি ওই গ্রামে মাটি চাপা পড়ে মারা যায়। সেখানে নিহত অপর দুজন হলেন ফুলদেবি চাকমা ও ইতি চাকমা।
নানিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ পাহাড় ধসের ঘটনায় হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলছিল।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে আজ সকাল ৬টার দিকে বাদশা মিয়া নামে একজন পাহাড় ধসে নিহত হন বলে স্থানীয় থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন। নিহতের দেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত বছরও টানা কয়েকদিনের বর্ষণের পর চট্টগ্রাম এবং তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৭ সালের ১২ ও ১৩ জুন দেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম ওই ধসের ঘটনায় প্রায় ১৭০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র রাঙ্গামাটিতেই নিহত হন প্রায় ১২০ জন।
Comments