ভাইয়ের চিঠি: খালেদার চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে পরিবার
![khaleda zia khaleda zia](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/khaleda-zia-1_8.jpg?itok=_jYyuKiq×tamp=1528797328)
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসার খরচ পারিবারিকভাবে বহন করা হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তার ভাই শামীম ইস্কানদার। চিঠিতে খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে বেসরকারি বিশেষায়িত ওই হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
‘আমার বড় বোন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিজ/পারিবারিক খরচে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের অনুমতি প্রসঙ্গে’ বিষয় হিসেবে উল্লিখিত চিঠিতে শামীম ইস্কান্দার লিখেছেন, দীর্ঘ কারাবাসে তার বোনের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন, গত ৫ জুন তিনি মাইল্ড স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ফলে ভবিষ্যতের জন্য এ ধরনের বিষয় বড় রকমের ঝুঁকির পূর্বাভাস বহন করছে। তাকে অনতিবিলম্বে ঢাকাস্থ বিশেষায়িত ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তিপূর্বক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রদান করা অতীব জরুরি।
১১ জুন তারিখে স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে শামীম ইস্কানাদার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ নিয়ে চিঠির পরের প্যারায় লিখেছেন, ‘আমি এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করছি যে, তার এ ধরনের সকল চিকিৎসা ব্যয় আমরা নিজ/পারিবারিকভাবে বহন করব।’
চিঠির সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রত্যয়ন সংযুক্ত থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব; মহা পরিদর্শক (প্রিজন), ঢাকা; জেল সুপার, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (পুরাতন ভবন); বরাবর চিঠিটির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গতকাল আইজি (প্রিজন) বলেছেন যে খালেদা জিয়াকে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসা ব্যয় কে বহন করবে, সে সম্পর্কেও সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হবে। এই অবস্থায় খালদার চিকিৎসার ব্যভার দলীয়ভাবে বহন করতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনো হাসপাতালে না যাওয়ার ব্যাপারে তিনি অনড় থাকায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিল বিএসএমএমইউ। সেই অনুযায়ী হাসপাতালের আশপাশে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া এই হাসপাতালে আসতে অস্বীকৃতি জানানোর পর বিএসএমএমইউ’র আশপাশ থেকে সরে যায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত শনিবার কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখতে গিয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত চার জন চিকিৎসক। সেখান থেকে এসে চিকিৎসক দলে থাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, মঙ্গলবার খালেদা জিয়া হঠাৎ করে পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি ওই সময়টার কথা বলতে পারছেন না। তার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত একটি হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার।
Comments