রুশদের মুখেও ‘মেসি মেসি’
নিবিড় অনুশীলনের জন্য মস্কো থেকে ২৫ মাইল দূরে সবুজে ঘেরা শান্তশিষ্ট শহর ব্রোনিৎসিকেই বেছে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। কিন্তু ক্ষুদে যাদুকর মেসি যেখানে আছেন সে শহর কি আর শান্ত থাকতে পারে। আলবিসেলেস্তাদের অনুশীলন ক্যাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ‘মেসি মেসি’ ধ্বনিতে চিৎকার করতে থাকেন প্রায় ৪০০ রুশ মেসি ভক্ত।
সৌভাগ্যবান ৪০০ জন যেতে পেরেছেন মেসিদের ক্যাম্পের পাশে। কিন্তু প্রায় হাজারো ভক্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্যাম্পের বাইরে। তাদের সবার মুখেই ছিলো মেসি মেসি ধ্বনি। তবে এদের মধ্যে স্কুলের বাচ্চারাই ছিলো বেশি। প্রিয় খেলোয়াড়কে নিজেদের শহরে পেয়ে এক নজর দেখার লোভ সামলাতে পারেননি তারা।
স্থানীয় শহরের ১০ বছরের স্কুলছাত্র দিমা এসেছেন বার্সেলোনার জার্সি গায়ে। শুধু তাই নয় মেসির ১০ নম্বর জার্সি। বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলেন, ‘আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতবে। হয়তো সেরা দল না কিন্তু এটা কোন ব্যাপার না। তাদের দলে মেসি আছে। সে থাকলে সব কিছুই সম্ভব।’
আর মেসিও ভক্তদের খুশি করেছেন অটোগ্রাফ দিয়ে। অনেকে ছবিও তুলে নিয়েছেন। মেসি মেসি ধ্বনির পাশে অবশ্য আরও কিছু নাম এসেছে। সের্জিও আগুয়েরো, হ্যাভিয়ার মাশ্চেরানো হতে শুরু করে হালের নতুন তারকা জুভেন্টাসের দিবালার অটোগ্রাফও নিয়েছেন তারা।
তবে এর মধ্যে বেশ কিছু আর্জেন্টাইনও ছিলেন। ছিলেন রাশিয়ার আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রদূত এরনেস্টো লাগোরিও। নিজের দলকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন এভাবেই, ‘আমারা আমাদের জাতীয় দলকে দেখতে এসেছি। এখানে তারা প্রথমবার এসেছেন। এটা সত্যিই দারুণ। আশা করি জুলাইয়ের ফাইনাল পর্যন্ত তারা এখানে থাকবে।’
বিশ্বকাপ শুরু হতে আর দুই দিনও বাকি নেই। শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু সময়টা ভালো যাচ্ছে না তাদের। দলের সেরা গোলরক্ষককে আগেই হারিয়েছে তারা। এরপর ওয়েস্টহ্যাম মিডফিল্ডার লানজিনিকেও হারায় দলটি। নতুন সংযোজন বানেগার ইনজুরি। প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘ডি’তে মেসিদের প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া। ১৬ জুন নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইউরোপের নব শক্তি আইসল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। এরপর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি ২২ জুন। আর ২৭ জুন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সুপার ঈগল নাইজেরিয়ার মোকাবেলা করবে দলটি।
Comments