যা রয়েছে ট্রাম্প-কিমের ঐতিহাসিক যৌথ বিবৃতিতে

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন গতকাল (১২ জুন) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত দুই দেশের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তা যেন শক্ত ভিত্তি পায় তাদের যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে।
Trump-Kim joint statement
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ১২ জুন ২০১৮ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত দুই দেশের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে শান্তি চুক্তির স্বাক্ষরের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। ছবি: এপি

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন গতকাল (১২ জুন) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত দুই দেশের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তা যেন শক্ত ভিত্তি পায় তাদের যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্প-কিমের আন্তরিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে নতুন সম্পর্কের জন্ম নিয়েছে। সেই সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার পাশাপাশি কোরীয় উপদ্বীপে শান্তির আবহ সৃষ্টি করার কথাও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিটিতে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলে উত্তর কোরিয়াও তার পরমাণু অস্ত্র পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে স্থাপিত নতুন সম্পর্ক কোরীয় উপদ্বীপের পাশাপাশি সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধি আনতে অবদান রাখবে।

ঐতিহাসিক ‘সিঙ্গাপুর শীর্ষ সম্মেলন’-এ যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া যে চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে সেগুলো হলো:

১. শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার জনগণের আকাঙ্খার ভিত্তিতে দেশ দুটির মধ্যে নতুন সম্পর্ক স্থাপন।

২. কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া যৌথভাবে কাজ করবে।

৩. ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল স্বাক্ষরিত ‘পানমুনজাম ঘোষণা’ অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরিভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখার জন্যে কাজ করবে।

৪. যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া মৃত যুদ্ধবন্দীদের দেহাবশেষ ও জীবিতদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

এছাড়াও, দীর্ঘদিন একে অপরের চরম শত্রু হিসেবে চিহ্নিত দেশ দুটি উন্নয়ন সহযোগিতা ও শান্তি-সমৃদ্ধির জন্যে আন্তরিকভাবে এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারও করেছে বলে যৌথ বিবৃতিটিতে উল্লেখ করা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য কোরিয়া হেরাল্ড

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago