‘ওজিল-গুন্ডুগানকে বহিষ্কার করা উচিৎ’

ozil
অনুশীলনে ওজিল ও গুন্ডুগান। ছবি : রয়টার্স

একে তো বিশ্বকাপ শুরু হতে এক দিনও বাকি নেই। অন্যদিকে জার্মানির অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মেসুত ওজিল। গত বিশ্বকাপে জার্মানিকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিলো তার। অথচ এ খেলোয়াড়ের বহিষ্কার চাইছেন সাবেক জার্মান তারকা স্টিফেন ইফেনবার্গ। তার সঙ্গে এলকে গুন্ডুগানের বহিষ্কারও চাইছেন তিনি।

শুধু স্টিফেনবার্গেরই নয়, বর্তমানে প্রায় সব জার্মানদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন ওজিল ও গুন্ডুগান। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে মার্কো রিউসের পরিবর্তে যখন মাঠে নেমেছেন গুন্ডুগান, তখন জার্মান দর্শকরা তাকে দুয়ো দিয়েছেন। অনেকে বিষয়টি মানতে না পেরে গালাগালিও করেছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে জার্মান গণমাধ্যমগুলো।

১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ইফেনবার্গ। কিন্তু গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষের ম্যাচের মাঝপথে তাকে বসিয়ে দিলে বিষয়টি স্বাভাবিক নিতে পারেননি এ জার্মান। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করলে তাকে বিশ্বকাপের মাঝেই বহিষ্কার করে ডিএফবি (জার্মান ফুটবল ফেডারেশন)। সে ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেন ইফেনবার্গ, ‘ডিএফবির নিজস্ব মূল্যায়ন ধরে রাখতে হলে অবশ্যই এ দুই খেলোয়াড়কে (ওজিল ও গুন্ডুগান) বহিষ্কার করা উচিৎ।’

মাস খানেক আগে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে দেখা করেন ওজিল ও গুন্ডুগান। এরপর তার একটি ভিডিও ক্লিপ নিজের ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেন ওজিল। আর এ বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি জার্মানরা। এ ঘটনার জেরে বিশ্বকাপে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন কোচ জোয়াকিম লো। মদ্যপান ও যৌনসঙ্গ নিষিদ্ধ ছিলো আগেই।

উল্লেখ্য, জার্মানির হয়ে খেললেও ওজিলের আদি ভূমি তুরস্ক। ওজিলের বাগদত্তা আমিন গুলসও তুর্কি বংশোদ্ভূত। তাই মাঝে মধ্যেই সময় কাটাতে তুরস্ক যান তারা। গত মাসে এমনই এক ভ্রমণের মাঝে এরদোগানের আমন্ত্রণে সাড়া দিতে গিয়েই জার্মানদের রোষানলে পড়েন ওজিল ও গুন্ডুগান।

 

Comments

The Daily Star  | English
Road Transport Act 2018: Govt moves to relax punishment, fines

All Dhaka buses to run under Nagar Paribahan

All passenger buses in Dhaka are scheduled to operate under Dhaka Nagar Paribahan, according to new decision yesterday by Bus Route Rationalization Committee (BRCC)

1h ago