ঈদে খালেদার সঙ্গে দেখা করতে চান বিএনপির নেতারা

কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের দিন দেখা করতে চান দলটির সিনিয়র নেতারা।
খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি নিজামুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। ছবি: সংগৃহীত

কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের দিন দেখা করতে চান দলটির সিনিয়র নেতারা।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঈদের দিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতির জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’

ফখরুল বলেন, ঈদের দিন সকালে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। অনুমতি পাওয়া গেলে সেখান থেকেই তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে কারা ফটকে যাবেন।

তিনি বলেন, ‘৭৩ বছর বয়সী একজন নারীকে কারাগারে আটকে রাখা অমানবিক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া এটা আর কিছুই নয়। আমাদের নিন্দা জানানোরও ভাষা নেই।’

গত শনিবার কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখতে গিয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত চার জন চিকিৎসক। সেখান থেকে এসে চিকিৎসক দলে থাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ৫ তারিখ খালেদা জিয়া হঠাৎ করে পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি ওই সময়টার কথা বলতে পারছেন না। তার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত একটি হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার।

খালেদার চিকিৎসকদের বক্তব্যের পরদিন সরকারের তিন জন মন্ত্রী দাবি করেন, খালেদার মাইল্ড স্ট্রোক হয়নি। তার রক্তের ‘সুগার লেভেল’ নেমে গিয়েছিল।

এর পর থেকেই সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনো হাসপাতালে না যাওয়ার ব্যাপারে অনড় রয়েছেন।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চাইলে খালেদা জিয়াকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। এর মধ্যেই খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইসকান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এক চিঠিতে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করানোর অনুমতি চান। অনুমতি পাওয়া গেলে খালদার চিকিৎসা খরচ পারিবারিকভাবে বহন করা হবে বলেও তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন। দলের পক্ষ থেকেও সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের প্রতি অনুরূপ দাবি জানানো হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণার পর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন খালেদা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago