যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

সুমন জাহিদ। ছবিটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের ছেলে সুমন জাহিদের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করতেন জাহিদ। নিহতের শ্যালক কাজী মো. বখতিয়ার বলেন, জাহিদ ফার্মার্স ব্যাংকে চাকরি করতেন। যুদ্ধাপরাধ মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তারাই জাহিদকে হত্যা করে থাকতে পারে।

১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে আলবদর নেতা চৌধুরী মঈন উদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন জাহিদ। ওই মামলার অপর সাক্ষী তৌহিদুর রেজা নূরও মনে করছেন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় জাহিদকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সকাল ১০টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের একটি দল খিলগাঁওয়ের শাহজাহানপুর বাগিচা এলাকায় রেললাইনের ধার থেকে লাশটি উদ্ধার করে। শাহজাহানপুর থানা থেকে লাশ পড়ে থাকার খবর পাওয়ার পর তারা সেখানে যায়।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের পূর্বক্ষণে জাতিকে মেধাশূন্য করার নীলনকশা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেন চৌধুরী মঈন উদ্দিন। ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর আরেক আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খানের সঙ্গে তার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূলনায়ক ছিলেন তিনি। এই নৃশংস অপরাধের জন্য তিনি শুধু এবং শুধুমাত্র ফাঁসির যোগ্য। তাদের মৃত্যুদণ্ড না হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে না।’ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিন জন ডাক্তারকে হত্যায় তাদের বিরুদ্ধে আনা ১১টি অভিযোগের সবগুলোই আদালতে প্রমাণিত হয়।

৬৫ বছর বয়সী এই দুই যুদ্ধাপরাধী এখন পলাতক রয়েছে। মঈন রয়েছে যুক্তরাজ্যে ও আশরাফ যুক্তরাষ্ট্রে।

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

8h ago