মরক্কো-ইরান ম্যাচে খেলল কে আর জিতল কে!

শেষ মুহূর্তের গোলে আগের ম্যাচেই হৃদয় ভেঙ্গেছে মিশরের। সান্ত্বনা তবু তাদের আছে। কারণ গোলটা দিয়েছিল উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা। তবে শুক্রবার সান্ত্বনার কোন ভাষা নেই মরক্কোর। কারণ পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে নির্ধারিত সময়ে শেষে যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে এসে গোল খেয়েছেন। তাও আবার নিজেদের খেলোয়াড়ের কাছ থেকেই। আর এ আত্মঘাতী গোলে পূর্ণ ৩ পয়েন্টের সন্তুষ্টি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে এশিয়ার দল ইরান।
শেষ মুহূর্তের আত্মঘাতী গোলে হৃদয় ভাঙ্গে মরক্কোর। ছবি : রয়টার্স

শেষ মুহূর্তের গোলে আগের ম্যাচেই হৃদয় ভেঙ্গেছে মিশরের। সান্ত্বনা তবু তাদের আছে। কারণ গোলটা দিয়েছিল উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা। তবে শুক্রবার সান্ত্বনার কোন ভাষা নেই মরক্কোর। কারণ পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে নির্ধারিত সময়ে শেষে যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে এসে গোল খেয়েছেন। তাও আবার নিজেদের খেলোয়াড়ের কাছ থেকেই। আর এ আত্মঘাতী গোলে পূর্ণ ৩ পয়েন্টের সন্তুষ্টি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে এশিয়ার দল ইরান।

বল নিজেদের পায়ে রেখেছে ৬৮ শতাংশ। সবচেয়ে বড় কথা মাঝ মাঠের প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণই ছিল মরক্কোর। কিন্তু ধারার বিপরীতে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে উল্টো হেরে বসে দলটি। ফলে ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হারানোর পর ২৪ বছর পর আবার বিশ্বকাপে কোন ম্যাচে জয়ের মুখ দেখে ইরান।

এদিন শুরু থেকেই ইরানকে চেপে ধরে মরক্কো। তবে মাঝে মধ্যেই পাল্টা আক্রমণে গিয়েছিল ইরানও। ম্যাচের ৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল মরক্কোর। আইয়ুব আল কাবির বাঁ পায়ের শট বারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।

১৯তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল মরক্কো। শুধু ভাগ্যই তাদের সঙ্গে ছিল না। ডিফেন্স থেকে উড়ে আসা বলে সতীর্থের হেড থেকে বল পেয়ে জোরালো শট করেন হাকিম জাইয়েখ। ইরানি ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফিরে আসলে তাতে আবার শট নেন ইউনুস বেলহান্দা। জটলা থেকে এবার বল পান মেহেদী মেনাতিয়া। তার শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরানভান্দ।

এক মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে সুযোগ পেয়েছিলো ইরানও। কিন্তু করিম আনসারিফার্দের শট সামান্যর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৯তম মিনিটে আবার সুযোগ আসে মরক্কোর। আচরাফ হাকিমির কাছ থেকে বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে বারে শট নিয়েছিলেন আমিনি হারিত। কিন্তু শটে জোর না থাকায় তা লুফে নিতে কোন কষ্ট হয়নি ইরানি গোলরক্ষকের।

তবে ম্যাচের সেরা সুযোগটি পেয়েছিল ইরানই। ৪২ মিনিটে জাহিদ আমিরির বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন সরদার আজমাউন। সময় পেয়েও ভারসাম্য ঠিকভাবে রাখতে না পারার খেসারত দেন তিনি। বাঁ প্রান্তে নেওয়া শট দারুণ ভাবে ফিরিয়ে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক মুনির। তবে ফিরতি বল পেয়েছিলেন আলিরেজা জাহানবসখ। তার শটও দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন মুনির।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা ধরে রাখে মরক্কো। ৪৮ মিনিটে দারুণ অ্যাঙ্গেলে নির্দিন আমরাবাদের কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন হারিত। তবে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বেশ বাইরে দিয়ে বল চলে যায়। এরপর আরও বেশ কিছু আক্রমণ করলেও বল অধিকাংশ সময় ছিল মাঝ মাঠেই।

৭৯ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পায় মরক্কো। এবারও ইরানের ত্রাতা গোলরক্ষক বেইরানভান্দ। হাকিম জিয়েচের শট বাঁ প্রান্তে ঝাঁপিয়ে পরে ফিরিয়ে দেন তিনি। গোল পেতে মরিয়া দলটি আক্রমণের ধারা বজায় রেখেই খেলে। কিন্তু ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আত্মঘাতী গোলেই সব শেষ হয় তাদের। কর্নার থেকে আসা বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে দেন আজিজ বোহাদ্দুজ।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago