ধুঁকে ধুঁকে উদ্ধার তারকায় ভরা ফ্রান্সের
এবার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের এত তারকা যে চাইলে কোচ দিদিয়ের দেশম রিজার্ভ বেঞ্চ দিয়েই অনায়াসে শক্ত একাদশ বানাতে পারেন। তবে সেই তারকাদের নামের ভার থাকলে কি হবে, কাজের কাজটা করা চাই তো। প্রথম ম্যাচে নেমে অন্তত তার ছাপ দেখা যায়নি। ড্র হতে যাওয়া ম্যাচ তবু শেষ মুহূর্তে গোলে জিতেছে তারা।
শনিবার বিকেলে কাজানে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা। দুটি গোলেই প্রযুক্তির সহায়তা পেয়েছে ফ্রান্স।
প্রথম গোলের সময় ফ্রান্স ঢুকে গেছে ইতিহাসেও। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফরির সাহায্য নিয়ে মাঠের রেফারির সিদ্ধান্ত এই প্রথম বদলেছে। বিরতির পর আঁতোয়ান গ্রিজম্যানকে অসি ডিফেন্ডার রিডসন বক্সের মধ্যে ফেলে দিলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি, তবে ভিএআর জানায় এটা পেনাল্টি, কার্ডও পান ওই ডিফেন্ডার। সেই পেনাল্টি থেকে ৫৯ মিনিটে গ্রিজম্যানের গোল। এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
মিনিট পাঁচের বেশি অবশ্য তা ধরে ধরে রাখতে পারেনি ফরাসিরা। ৬৩ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে বক্সের মধ্যে লাফিয়ে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে পেনাল্টি হজম করেন স্যামুয়েল উমতিতি। অসি ফরোয়ার্ড জেডিনাক দলকে সমতায় ফেরাতে কোন ভুল করেননি।
ম্যাচের শুরুটা ফ্রান্সের ভুল পাসের ছড়াছড়ি, এলোমেলো ফুটবলে ভরা। মাঝমাঠে পল পগবা ফরোয়ার্ডদের বলের জোগান দিতে পারেননি ঠিকমতো। উসমান ডেম্বেলে, আঁতোয়ান গ্রিজম্যানদের শট ছিল লক্ষ্যহীন। বেশ খানিকটা জায়গা বের করে খেলা অস্ট্রেলিয়ার ভুগতে হয়নি একদম। উল্টো বেশ ভুগেছিলেন ফরাসী গোলরক্ষক হুগো লরিস। ২৯ মিনিটে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে লরিস দলকে রক্ষা না করলে গোল পেতে পারত অস্ট্রেলিয়া।
তবে শুরুতে ভুল করলেও পগবা শোধরে নিয়েছেন ৮০ মিনিটে দারুণ এক গোল করে। গ্রিজম্যানের জায়গায় বদলি হিসেবে নামা অলিভিয়ার জিরুর কাছ থেকে বল পেয়ে অনেকটা দূর থেক বারে শট নেন ফরাসী মিডফিল্ডার। বারে লেগে একবার গোল লাইনের ভেতর বাউন্স করে তা বেরিয়ে আসে। তবে গোললাইন টেকনোলজি জানায় গোল হয়েছে ফ্রান্সের।
এবারের আসরে ফ্রান্সকে মনে করা হচ্ছে হট ফেভারিট। কিন্তু তাদের শুরুটা মন ভরাতে পারেনি দর্শকদের। অনেকটা পিছিয়ে থাকা দল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পয়েন্ট আদায় করেছে দেশমের শিষ্যরা।
২১ জুন পেরুর বিপক্ষে পরের ম্যাচ খেলবে ফরাসীরা।
Comments