খেলল পেরু, জিতল ডেনমার্ক

ভিএআর প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে ফ্রান্স। একই সুবিধা পেয়েছিল ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে ফেরা পেরুও। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। সে সুবিধাটা কাজে লাগাতে না পেরে হেরেই যায় দলটি। ডেনমার্কের কাছে ০-১ গোলের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করে তারা।

ভিএআর প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে ফ্রান্স। একই সুবিধা পেয়েছিল ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে ফেরা পেরুও। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। সে সুবিধাটা কাজে লাগাতে না পেরে হেরেই যায় দলটি। ডেনমার্কের কাছে ০-১ গোলের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করে তারা।

এদিন প্রথমার্ধের শেষ দিকে এগিয়ে যেতে পারতো পেরু। ডি বক্সের মাঝে ক্রিস্টিয়ান কোয়েভাকে ফাউল করেন ইউসুফ পৌলসেন। রেফারির চোখ এড়িয়ে যায় তা। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। কিন্তু কি করলেন কোয়েভা?

বার পোস্টের উপর দিয়ে মেরে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন কোয়েভা। এ যেন ১৯৯৪ সালের ফাইনালে রবার্তো ব্যাজ্জিওর করা পেনাল্টি মিসের কার্বন কপি। ব্যাজ্জিও যেমন খেসারত দিয়েছেন বিশ্বকাপ হাতছাড়া করে, তেমনি কোয়েভা দিলেন ম্যাচ হাতছাড়া করে।

তবে এদিন কি করেনি পেরু।  ৫৩% শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রেখেছে।  বারে শট নিয়েছে ১৭টি। যার মধ্যে ৬টি ছিল অনটার্গেট। এর মধ্যে তিনটি ছিল পরিষ্কার গোল হওয়ার মতোই। কিন্তু স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতার সঙ্গে ডেনিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেলের দুর্দান্ত গোল কিপিংয়ে গোলের দেখা পায়নি দলটি।

শুরু থেকেই ডেনিশদের চেপে ধরেছিল পেরু। একের পর এক মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যস্ত রেখেছিলো ডেনিশ ডিফেন্ডারদের। কিন্তু ধারার বিপরীতে ৫৯ মিনিটে গোলে দিয়ে বসে ডেনমার্ক। এবারও সেই ইউসুফ পৌলসান। ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ শটে বল জড়ান এ ফরোয়ার্ড।

গোল খেয়ে শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে পেরু। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের পিছু ছাড়েনি। দারুণ সব আক্রমণ প্রতিহত করেন ডেনিশ গোলরক্ষক। ফলে হারের বেদনা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ল্যাটিন আমেরিকার দলটিকে।

Comments