নেইমারের উপর ফাউলের রেকর্ড!

নেইমার Neymar
সুইস খেলোয়াড়দের ফাউলের শিকার হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন নেইমার। ছবিঃ রয়টার্স

ঘরের মাঠে মারাত্মক এক ফাউলের শিকার হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছিল নেইমারের। চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল অনেকদিন। এবারের বিশ্বকাপেও প্রথম ম্যাচেই মাঠে নেমে নেইমারকে ফাউলের কারণে বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে এই তারকাকে। ২০ বছরের মধ্যে কোন ম্যাচে একক কোন খেলোয়াড়ের উপর করা ফাউলের তো রেকর্ডই হয়ে গেছে। 

গতকালের ম্যাচে একটা দৃশ্য দেখা গেছে বেশ নিয়মিতভাবেই। মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন নেইমার, আর ফাউলের বাঁশি বাজাচ্ছেন রেফারি। একবার দুবার নয়, সুইজারল্যান্ডের খেলোয়াড়দের কাছে এরকমভাবে মোট ১০ বার ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার! আর এতেই একটি রেকর্ডবুকে নাম উঠে গেছে ব্রাজিল তারকার। বিশ্বকাপের কোন ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের উপর এতবার ফাউলের রেকর্ড খুঁজতে গেলে ফিরে যেতে হবে সেই ২০ বছর আগে। সর্বশেষ বিশ্বকাপের কোন ম্যাচে কোন একজন খেলোয়াড়ের ১০ বা তার বেশিবার ফাউলের শিকার হওয়ার ঘটনাটা ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে। তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে একাই ১১ বার ফাউলের শিকার হয়েছিলেন ইংল্যান্ড তারকা অ্যালান শিয়ারার!

সুইস কোচ ভ্লাদিমির পেতকোভিচ যে নেইমারকে আটকানোর জন্যই এমন কৌশল নিয়েছিলেন, খেলা দেখে কারোর এমনটা মনে হলে তাকে খুব একটা দোষও দেয়া যায় না। অযথাই বারবার পেছন থেকে জার্সি টেনে ধরছিলেন লিখস্টেইনাররা, পায়ে বল না থাকলেও বারবার ফাউলের আঘাতে মাটিতে পড়ে যেতে হচ্ছিল তাঁকে। তবে সুইস কোচ অবশ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ফাউল করার দায় একেবারেই এড়িয়ে গেছেন।

বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কোন ফুটবলারের উপর ফাউলের কথা বললেই সামনে চলে আসে ১৯৬৬ বিশ্বকাপে পেলের উপর বুলগেরিয়া ও পর্তুগালের খেলোয়াড়দের করা অগণিত ফাউলগুলোর কথা। বুলগেরিয়ার ডিফেন্ডারদের নৃশংস ফাউলের শিকার হয়ে বিশ্বকাপই শেষ হয়ে গিয়েছিল পেলের। ওই বিশ্বকাপে ফাউলে জর্জরিত হয়ে পেলে এতটাই তিতিবিরক্ত হয়েছিলেন, এরপর আর কখনো বিশ্বকাপে না খেলার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন এক পর্যায়ে!   

Comments

The Daily Star  | English

IMF reaches agreement on $1.3 billion credit facility for Bangladesh

The global lender reaches agreement on third, fourth reviews of credit facility for the country

59m ago