সৌদি খেলোয়াড়দের বহনকারী বিমানে আগুন
সৌদি আরবের খেলোয়াড়দের বহনকারী অফিশিয়াল বিমানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে উরুগুয়ের মোকাবেলা করার জন্য রোস্তভে যাওয়ার পথে আকাশে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
সৌদি আরব দলকে বহন করছিল ‘রসিয়া রাশিয়ান এয়ারলাইন্স এয়ারবাস এ৩১৯-১০০’ মডেলের একটি বিমান। যাত্রাপথে হঠাৎই ইঞ্জিন থেকে আগুনের শিখা দেখা গেলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরবর্তীতে অবশ্য নিরাপদেই অবতরণ করেছে বিমানটি। খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সব সদস্য নিরাপদে আছেন বলেও জানিয়েছে সৌদি ফুটবল সংস্থা।
অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে বিমান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইঞ্জিনের সাথে একটি পাখি ধাক্কা খাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ তাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সেন্ট পিটার্সবাগ থেকে রোস্তভ-অন-ডনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসেছিল ফ্লাইট এফভি১০০৭। রোস্তভে অবতরণের ঠিক কিছুক্ষণ আগে এয়ারবাসটিতে কিছু যান্ত্রিক গোলোযোগ ঘটে। এয়ারবাসটির একটি ইঞ্জিনের সঙ্গে পাখির সংঘর্ষকেই এই দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ বলে ধারণা করছি আমরা।’
‘যাত্রীরা সকলে নিরাপদে আছেন। এয়ারবাসটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করেছে। অবতরণের সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো ধরনের বিপদ সংকেতও পাঠানো হয়নি।’
এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই সৌদি আরবের ফুটবল সংস্থা তাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জাতীয় দলের সকল সদস্য ও কোচিং স্টাফদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সবাইকে পুনরায় আশ্বস্ত করছে সৌদি ফুটবল ফেডারেশন। খেলোয়াড়দের বহনকারী বিমানের ইঞ্জিনে একটি ছোটখাটো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিমানটি কিছুক্ষণ আগে রোস্তভ-অন-ডনের বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে।’
দুর্ঘটনার পরপর বিমানের ইঞ্জিন থেকে আগুনের শিখা বের হওয়ার ভিডিও ও ছড়িয়ে পরে টুইটারে। দুর্ঘটনায় আক্রান্ত বিমানটি ২০১৩ সালের জুলাইয়ে আমেরিকান এয়ারলাইন ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে কিনে নেয় রুশ সংস্থা ডোনাভিয়া।
প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে ৫-০ গোলে বিদ্ধস্ত হওয়ার পর আগামীকাল বাঁচা মরার ম্যাচে উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে সৌদি আরব।
Comments