পোলান্ডের দুই ‘উপহারে’ জিতল সেনেগাল
পুরো ম্যাচে বল নিয়ন্ত্রণ রাখলেই যে খেলায় জেতা যায় না, এই বিশ্বকাপই বারবার দিচ্ছে সে প্রমাণ। সেনেগালের বিপক্ষে ৬১ শতাশং বল পজিশন রেখেও কাজের কাজ করতে পারেনি পোল্যান্ড। উল্টো ছেলেমানুষী দুই ভুলে অনেকটা জয় উপহার দিয়েছে সেনেগালকে।
বিরতির আগে একটি, পরে একটি। সেনেগালের দুটি গোলই পোলিশদের দেওয়া উপহার। প্রথমটি তো খাতায় কলমে আত্মঘাতী। পরেরটি আত্মঘাতী না হলেও এরচেয়ে কম কিছু বলবার উপায় নেই। এই দুই গোলের আগে পরে বেশিরভাগ সময় বল পায়ে ছিল পোল্যান্ডের। তবে ধারালো আক্রমণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেনেগালই। শেষ পর্যন্ত পোলিশদের দুই ছেলেমানুষই ভুলই ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেয়। শেষ দিকে এক গোল শোধ করেও হাসতে পারেনি পোল্যান্ড।
মঙ্গলবার রাতে মস্কোতে এইচ গ্রুপের ম্যাচ সেনেগাল জিতেছে ২-১ গোলে।
প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে তৈরি হওয়া আক্রমণ গোলে পরিণত করতে সাদিও মানের পাস পেয়ে শট নিয়েছিলেন ইদ্রিস গুয়েয়া। শটটি অনেকটা বাইরের দিকেই যাচ্ছিল। কি বুঝে তাতে পা লাগিয়ে দেন পোলিশ ডিফেন্ডার থিয়াগো চাইওনিক। দিক বদল হয়ে তা উল্টো জালে ঢুকে যায়।
ওই এক গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় সেনেগাল। বিরতির পরও গতিময় ফুটবল খেলার মতি নিয়ে নেমেছিলেন সাদিও মানেরা। মাঝমাঠ পোক্ত করে বারবার বিপদজনক থ্রো বাড়িয়ে এগিয়েছেন আক্রমণে। তবে ফরোয়ার্ডদের ভুলে গোল বাড়ছিল না। ওদিকে গোল করার মরিয়া চেষ্টা করেও ফল পাচ্ছিল না পোল্যান্ড। এবার সেই খরা কটানোর দায়িত্ব নিয়ে নেন পোল্যান্ড গোলরক্ষক চেসনিস। অ্যাটাকিং হাফ থেকে ফ্রি কিক পেয়েছিল পোল্যান্ড। ভুল পাসে তা চলে যায় সেনেগালের এমবায়ে নিয়াগের পায়ে। তা রুখতে গোলরক্ষক পড়িমরি করে দৌড়ে চলে আসেন একদম মাঝমাঠে। বুদ্ধিমান নিয়াগ গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাঁকায় ছুটে গিয়ে জালে জড়িয়ে আসেন বল। ওই গোলের পর খেলায় ফেরার চেষ্টা করেছিল পোল্যান্ড। দুই গোলে এগিয়ে থাকাতে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর সেনেগাল রক্ষণ নড়বড় হয়নি।
৮৬ মিনিটে গিয়ে এক গোল শোধ দেন জেক্রোজ ক্রিখোবিয়াক। কর্নার থেকে কামিল ক্রসিকির শট থেকে হেডে বল জালে জড়ান তিনি। শেষ মিনিট কয়েক উত্তেজনা ছড়ালেও আর ম্যাচে ফেরা হয়নি পোল্যান্ডের।
কাছাকাছি চার দলের এইচ গ্রুপ থেকে মূল্যবান তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে সেনেগাল।
Comments