বিএনপির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আওয়ামী লীগ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে বিএনপির সিদ্ধান্ত জানার পর জোটের শরীক দলগুলোর মধ্যে আসন বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিবে আওয়ামী লীগ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর পাঁচ থেকে ছয় মাস বাকি। এই অবস্থায় ক্ষমতাসীন শরীকরা চাইছে কোন দল কত আসনে প্রার্থী দিবে সেই সিদ্ধান্ত এখনই নিয়ে নিক আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপি নির্বাচন করবে কি না সেই সিদ্ধান্ত না জানা পর্যন্ত আসন বণ্টন নিয়ে অগ্রসর হতে চাইছে না প্রধান শরীক আওয়ামী লীগ। দলের ভেতরের সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে এমন মনোভাবই জানা গেছে।
সূত্রগুলো বলছে, ২০১৪ সালের মতো বিএনপি এবারও নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিলে তারা এখনকার জোটসঙ্গীদের নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তাদের ভাষায় এটি ‘আদর্শিক জোট’। আর বিএনপি নির্বাচনে এলে বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে যুক্ত করে মহাজোট গঠন করে তারা নির্বাচনে নামবে।
২০০৯ সালেও জাতীয় পার্টির সঙ্গে মহাজোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এটিকে তারা বলছে ‘নির্বাচনী জোট’।
ক্ষমতাসীন জোটের শরীক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, শরীকদের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেছেন। এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়নি। শিগগিরই এর ফয়সালা হয়ে যাওয়া উচিত।
সেই সঙ্গে তিনি এটাও বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসছে কি না এবং জাতীয় পার্টির অবস্থান কী হবে সেটার ওপরও জোটের প্রধান শরীক আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে।
সূত্রগুলো বলছে, সম্প্রতি ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়নের জন্য ১৪ জনের একটি তালিকা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে এ নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
ক্ষমতাসীন দলটির কয়েকজন নেতা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে জোটের শরীকদের অল্প কিছু আসনের মনোনয়ন ছেড়ে দিবে আওয়ামী লীগ। আর চিত্র বিপরীত হলে শরীকরা বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবে।
যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক দ্য ডেইল স্টারকে বলেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোটের মধ্যে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রশ্নে বিএনপির সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। এর মধ্যে দেশি-বিদেশি জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান দিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের অন্য একটি সূত্র বলেছে, নিজেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে মনে করা হয় এমন ২০০টি আসনে পূর্ণ মনোযোগ দিতে চায় তারা। বাকি ১০০ আসন জোটসঙ্গীদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীরাও বড় ধরনের বাধা তৈরি করতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
Comments