সংখ্যায় সংখ্যায় আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ
আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্রয়ের পর আর্জেন্টিনার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ। ক্রোয়েশিয়াকে হারাতে না পারলে বিশ্বকাপ স্বপ্নে বেশ বড় রকমের ধাক্কা লাগবে আলবিসেলেস্তেদের। রাত ১২ টায় মুখোমুখি হবেন মেসি-মড্রিচরা, তবে তার আগে চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক পরিসংখ্যানের উপর।
হেড টু হেড:
১) এর আগে চারবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। জয়ের পাল্লাটা ভারী আর্জেন্টিনার দিকেই। চারবারের দেখায় আকাশি নীলদের জয় দুইবার, ক্রোয়েশিয়া জিতেছে একবার। বাকি ম্যাচটি হয়েছে ড্র।
২) বিশ্বকাপে এর আগে কেবল একবারই মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ওই ম্যাচে মরিসিও পিনেদার একমাত্র গোলে ক্রোয়াটদের হারিয়েছিল আর্জেন্টিনাই।
আর্জেন্টিনা:
১) আর্জেন্টিনা তাদের গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় বঞ্চিত ছিল, এরকম ঘটনা সর্বশেষ ঘটেছে ১৯৭৪ বিশ্বকাপে।
২) গ্রুপ পর্বে শেষ ১৬ ম্যাচের মাত্র একটিতেই হেরেছে আর্জেন্টিনা, ২০০২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে। বাকি ১৫ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ১২ টিতেই, আর বাকি তিনটি হয়েছে ড্র।
৩) শেষ ১০ টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুইটিতে একের বেশি গোল করতে পেরেছে আর্জেন্টিনা।
৪) বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লাতিন অঞ্চলের দলগুলোর মধ্যে শট কনভার্শনের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। মোট শটের মাত্র ৮.১% শটকে গোলে রূপান্তরিত করতে পেরেছে তাঁরা।
৫) আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে শেষ চার ম্যাচেই গোল পেয়েছেন সার্জিও আগুয়েরো।
৬) বিশ্বকাপে মেসি সবশেষ গোল পেয়েছিলেন ২০১৪ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে, নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। এরপর গোলমুখে ২১ টি শট নিয়ে একটিও গোল করতে পারেননি তিনি।
ক্রোয়েশিয়া:
১) ১৯৯৮ সালের পর বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচ জিততে পারেনি ক্রোয়েশিয়া।
২) বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কখনো হারেনি ক্রোয়াটরা। তিনবার জিতেছে, ড্র করেছে একবার।
৩) বিশ্বকাপে লাতিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চার ম্যাচ খেলে সবকয়টিতেই হেরেছে ক্রোয়েশিয়া। তিনবার ব্রাজিলের কাছে, আরেকবার আর্জেন্টিনার কাছে।
Comments