সেই আর্জেন্টিনাকেই ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ দেখছেন ব্যাকহাম

ফকল্যান্ডস যুদ্ধ নিয়ে এমনিতেই দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক। আর তাতে ঘি ঢেলেছিলেন দিয়াগো ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে দিয়েছিলেন হাত দিয়ে গোল। তখন থেকে ফুটবলেও ইংলিশদের চিরশত্রু আর্জেন্টিনা। এবার সেই দুই দেশেরই ফাইনাল দেখছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ডেভিড ব্যাকহাম।
গ্রুপ পর্বে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। জোড়া গোল করেছেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। সেই ম্যাচ দেখেই প্রত্যাশাটা বেড়েছে ব্যাকহামের। দলটিকে ফাইনালেই দেখছেন তিনি। আর প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে।
অথচ গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে পয়েন্ট খুইয়েছে দলটি। কিন্তু তারপরও দলটি ঘুরে দাঁড়াবে এবং ঠিকই ফাইনাল খেলবে বলে বিশ্বাস করেন ব্যাকহাম, ‘আমি বিশ্বাস করি ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা খেলবে।’
ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে দেখলেও বিশ্বকাপটা ইংল্যান্ডের হাতেই দেখছেন ব্যাকহাম, ‘আমি অবশ্যই চাইবো আমার নিজের দেশ ইংল্যান্ডই বিশ্বকাপ জিতবে। এটা হয়তো পক্ষপাতমূলক কথা।’
১৯৬৬ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। এরপর আর শিরোপা তো দূরের কথা ফাইনালেও উঠতে পারেনি দলটি। সাম্প্রতিক সময়ে সাফল্য আরও কম। ২০০৬ সালে শেষবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল তারা। তবে তরুণ এ দলটা দারুণ আশাবাদী করেছে ব্যাকহামকে।
‘গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ জয়ে আমি ভীষণ খুশি। ইংল্যান্ডের এ দলটা খুব তরুণ। তাদের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা এখনও হয়নি। ধীরে ধীরে বিশ্বকাপের যাত্রাটা কঠিন হবে কারণ টুর্নামেন্টে অনেকগুলো ভালো দল রয়েছে।’
ইংল্যান্ডের এ দলটাকে পরিচর্যা করলে আগামীতে বিশ্ব শাসন করতে পারে বলে মনে করছেন ব্যাকহাম। তবে এর জন্য প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হবে বলে জানান সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা, ‘ভবিষ্যতে ইংল্যান্ডের এ দলটা ফুটবল বিশ্বে পাওয়ার হাউজ হওয়ার সুযোগ আছে। তবে এর জন্য অনেক বিনিয়োগ ও কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।’
Comments