আর্জেন্টিনার সামনে যদি কিন্তুর যে হিসাব নিকাশ

ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে তিন গোলে হেরে যাওয়ার পর আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া ঝুলছে সুতোর উপর। একটু এদিক-সেদিক হলেই ধপাস। লিওনেল মেসিদের শেষ ষোলোতে যাওয়াটা আর নিজেদের হাতে নেই, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের উপর। মিলতে হবে অনেকগুলো সমীকরণ । দেখা নেওয়া যাক কি সেগুলো।
হেরে যাওয়ার হতাশ আর্জেন্টাইনরা। ছবিঃ রয়টার্স

ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে তিন গোলে হেরে যাওয়ার পর আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া ঝুলছে সুতোর উপর। একটু এদিক-সেদিক হলেই ধপাস। লিওনেল মেসিদের শেষ ষোলোতে যাওয়াটা আর নিজেদের হাতে নেই, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের উপর। মিলতে হবে অনেকগুলো সমীকরণ । দেখা নেওয়া যাক কি সেগুলো।

আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র ও ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে যাওয়ায় দুই ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট এখন এক। এই গ্রুপ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করায় ক্রোয়েশিয়াকে আলাদা সরিয়ে রাখতে হচ্ছে। বাকি দুই দলের মধ্যে এক ম্যাচ পর আইসল্যান্ডের পয়েন্ট এক। আর নাইজেরিয়া আছে খালি হাতে।

ডি গ্রুপের আর বাকি তিন ম্যাচ। শুক্রবার নাইজেরিয়ার মুখোমুখি হবে আইসল্যান্ড। এই ম্যাচে আইসল্যান্ড জিতে গেলে সমীকরণ কঠিন হয়ে যাবে আর্জেন্টিনার। তখন নিজেদের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে বড় ব্যবধানে হারানোর পাশাপাশি প্রার্থনা করতে হবে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে আইসল্যান্ডের বড় হারের।

যদি আইসল্যান্ড নাইজেরিয়ার কাছে হেরে যায়, আবার আর্জেন্টিনাও নাইজেরিয়াকে হারায় তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডের পথটা বেশ সুগোম হয় আর্জেন্টিনার। তবে তখন ক্রোয়েশিয়ার কাছে আইসল্যান্ডের কেবল হেরে যাওয়ার প্রার্থনা করতে হবে হোর্হে সাম্পাওলির দলকে।

আইসল্যান্ডের বিপক্ষে নাইজেরিয়ার জয় কামনা করেও আরও মুসিবত থেকে বাঁচতে হবে আর্জেন্টিনাকে। নাইজেরিয়া যদি আইসল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় তাহলে শেষ ম্যাচে তারা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ড্র করলেই চলে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।

আর্জেন্টিনার জন্যে সবচেয়ে সহজ সমীকরণও একটা আছে। আইসল্যান্ড-নাইজেরিয়া ম্যাচ আর ক্রোয়েশিয়া-নাইজেরিয়া ম্যাচ ড্র হলে শেষ ম্যাচে মেসিদের কেবল নইজেরিয়াকে হারালেই চলবে। 

২০০২ বিশ্বকাপে শেষ বার গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছিল আর্জেন্টিনা। দেখা যাক এবার এতগুলো সমীকরণ মিলিয়ে পরের রাউন্ডে উঠার গল্প তাদের মিলে কিনা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago