ক্ষমা চাইলেন সাম্পাওলি

অনেক আশা নিয়ে তাঁকে কোচের চেয়ারে বসিয়েছিল আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। তাঁর চিলির কাছে হেরেই আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকার শিরোপা বঞ্চিত হতে হয়েছিল। আর্জেন্টিনার শক্তিমত্তা ও দুর্বলতার জায়গাগুলো তাই ভালোই জানেন, এমনটা ভেবেই আকাশি নীলদের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছিল তাঁর হাতে। বিশ্বকাপের আগে খুব বেশি সময় না পেলেও দলটাকে গুছিয়ে নিতে পারবেন সাম্পাওলি, সে আশা করেছিলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। দারুণ ট্যাকটিশিয়ান হিসেবে পরিচিত সাম্পাওলির অধীনে ভালো কিছু করবে আর্জেন্টিনা, এমনটাই ছিল ভক্তদের প্রত্যাশা। কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হলো কই!

অনেক আশা নিয়ে তাঁকে কোচের চেয়ারে বসিয়েছিল আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। তাঁর চিলির কাছে হেরেই আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকার শিরোপা বঞ্চিত হতে হয়েছিল। আর্জেন্টিনার শক্তিমত্তা ও দুর্বলতার জায়গাগুলো তাই ভালোই জানেন, এমনটা ভেবেই আকাশি নীলদের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছিল তাঁর হাতে। বিশ্বকাপের আগে খুব বেশি সময় না পেলেও দলটাকে গুছিয়ে নিতে পারবেন সাম্পাওলি, সে আশা করেছিলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। দারুণ ট্যাকটিশিয়ান হিসেবে পরিচিত সাম্পাওলির অধীনে ভালো কিছু করবে আর্জেন্টিনা, এমনটাই ছিল ভক্তদের প্রত্যাশা। কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হলো কই!

প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারেননি সাম্পাওলি। ক্রোয়েশিয়ার কাছে বিদ্ধস্ত হয়ে দল এখন দাঁড়িয়ে খাদের কিনারায়। লজ্জাজনক এমন পারফরম্যান্সের পর সবটুকু দায় তাই নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন তিনি। হতাশাজনক ফলাফলের পর দেশবাসী ও সকল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় সাম্পাওলি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সকলের কাছে। দলের প্রত্যাশামাফিক পারফর্ম না করতে পারার দায় স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ‘সব সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে একমাত্র আমিই দায়ী। আজকের এই পরাজয়ের সকল দায় আমার। অনেক আশা নিয়ে আজকে মাঠে গিয়েছিলাম আমি। এমন হারের পর আমি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। আমার যেভাবে ম্যাচের পরিস্থিতি পড়তে পারা উচিত ছিল, নিশ্চিতভাবে আমি সেভাবে পড়তে পারিনি।’

পুরো ম্যাচে মেসির কাছে সতীর্থরা খুব কমই বল পৌঁছাতে পেরেছেন। মেসি যেন মাঠে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। এর দায়টাও নিজের কাঁধেই নিচ্ছেন সাম্পাওলি, ‘ম্যাচ জিততে হলে দলের সবার মধ্যে যেই সমন্বয় ঘটাতে হতো, তা আমরা করতে পারিনি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ক্রোয়েশিয়ার অর্ধে ঢুকে ওদের উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারব আমরা। কিন্তু সেটা হয়নি। আমরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলাম।’

‘এই দলটা তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি। খেলোয়াড়েরা যদি আমার গেম প্ল্যানের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে না পারে, তাহলে সেটার সম্পূর্ণ দায় আমার। ম্যাচ ঠিকভাবে পড়তে না পারার দায় আমি স্বীকার করছি। আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি।’

এই পরাজয় যে ভেতরে ভেতরে তাঁকেও পোড়াচ্ছে, সেটিও যেন বোঝাতে চাইলেন সাম্পাওলি, ‘আর্জেন্টিনার মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারাটা অনেক বড় লজ্জা। আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে এটা। আমি সবশেষ এমন অনুভব করেছিলাম অনেক দিন আগে। আর এখন নিজ দেশের জার্সি গায়ে দিয়েই আমাকে এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এটা আসলেই খুব কষ্ট দেয়।’

আর্জেন্টিনা থেকে প্রিয় দলের খেলা দেখতে সুদূর রাশিয়ায় আসা সমর্থকদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি, ‘যারা কষ্ট করে রাশিয়ায় এসেছিলেন আমাদের খেলা দেখতে, তাদের সবার কাছে ক্ষমা চাইছি আমি। আমিও ওদের মতোই স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমার পক্ষে যা যা করা সম্ভব ছিল, আমি সবটাই করেছি।’

ম্যাচশেষে সার্জিও আগুয়েরোর একটা মন্তব্য নিয়েও বেশ বিতর্ক হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই গঞ্জালো হিগুয়েইনকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে উঠে যাওয়া আগুয়েরো ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, কোচের গেম প্ল্যান তারা বুঝতে পারেননি। এ বিষয়ে সাম্পাওলির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি শুধু বলেছেন, ‘আগুয়েরো যা ইচ্ছা তাই বলতে পারে।’

Comments