দুই বাংলার শিশুদের আঁকা ছবি নিয়ে কলকাতায় ব্যতিক্রমী চিত্র প্রদর্শনী
![Painting show Painting show](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/painting-show-1.jpg?itok=0Yhd0a9n×tamp=1529660414)
হাতে মোবাইল ফোন, টেলিভিশনে দিন-রাত চোখ- অনেকেই আবার ফেসবুকে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর যারা একটু পড়াশোনায় বেশি মনযোগী তারা স্কুল, টিউশন-পড়াশোনা নিয়ে ভীষণ চাপে থাকে। বাড়ির বড়দের নানারকম মানসিক নির্যাতনের মধ্যে আজকের শিশুদের মানসিক বিকাশ কতটুকু হয়েছে কিংবা তাদের মনের ভেতর সৃষ্টির আকাশটাই বা কতটা বিস্তৃত। ছবি আঁকার মধ্য দিয়েই শিশু-মনের সেই প্রকাশের ভাবনা থেকেই কলকাতায় আয়োজন করা হয়েছিল এক ব্যতিক্রমধর্মী শিশু চিত্র প্রদর্শনী। সেটিও আবার দুই বাংলার শিশুদের আঁকা ছবি নিয়ে।
তিনদিনের এই আয়োজন ছিল মধ্য-কলকাতার হো চি মিন সরণির আইসিসিআরের বেঙ্গল গ্যালারিতে। আর প্রদর্শনীর শিরোনাম ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল আর্ট এক্সিবিশন অ্যান্ড কমপিটিশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়াং অ্যাডাল্ট ২০১৮।
গতকাল (২১ জুন) সন্ধ্যায় পর্দা নামে এই আয়োজনের। কলকাতার বিভিন্ন দিক থেকে আসা চিত্রপ্রেমী মানুষ এই আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আগামীতেও এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার দাবিও জানান অনেকেই।
বাংলাদেশের লিভিং আর্ট নামের একটি সংস্থা এই আয়োজন করেছিল। আর গোটা আয়োজনে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনের পূর্বাঞ্চলীয় দফতর।
লিভিং আর্টের পরিচালক বিপ্লব গোস্বামী দ্য ডেইলি স্টারকে বললেন, “দেখুন আমাদের শিশুদের মন আমরা এখন অনেকেই বুঝতে পারি না। বাড়ির বড়রা নিজের অজান্তেই নানাভাবে চাপ দিচ্ছি শিশুদের। এছাড়াও এখন মোবাইল ফোনে গেম, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তাদের অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়ে তাদের সেখানে ব্যস্ত রাখা কিংবা মনের ওপর প্রভাব পড়ে এমন অনেক টেলিভিশন সিরিজ দেখানোর সুযোগ করে দিয়ে শিশুর কোমল মনের ওপর অনেক বড় সমস্যার বোঝা দিয়ে দিচ্ছি।”
“এসবের মধ্যে তাদের মনোভাব কেমন আছে সেটি আবিষ্কার করতেই দুই বাংলার ২৫০জন শিশুকে নিয়ে এমন চিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রতিযোগিতার বিজয়ী যারা হয়েছিল, তাদের আঁকা ছবিও যেমন আমরা প্রদর্শনীতে টাঙিয়েছি, তেমনই যারা হয়নি, সেই শিশুদের ছবিও জায়গা পেয়েছে আমাদের এই আন্তর্জাতিক আয়োজনে,” যোগ করেন বিপ্লব।
গত ১৯ জুন সন্ধ্যায় এই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শিশুশিল্পীদের উৎসাহ দিয়েছিলেন রবীন্দ্র-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার, বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, আইসিসিআরের আঞ্চলিক পরিচালক গৌতম দে প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দুই বাংলার মধ্যে শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বাড়াতে গত তিনবছর ধরে ব্যতিক্রমধর্মী বিষয়বস্তুকে সামনে এনে লিভিং আর্ট কলকাতায় এমন নিয়মিত আয়োজন করে আসছে বলেও জানালেন উদ্যোক্তারা।
Comments