নেইমার-কৌতিনহোর গোলে ব্রাজিলের জয়
একের পর এক আক্রমণ, গোল মুখে ব্রাজিলিয়ানদের বিপদজনক মুভ। কোস্টারিকাকে কোনঠাসা করেও গোল পাচ্ছিল না ব্রাজিল। শঙ্কা জাগছিল পয়েন্ট হারানোর। অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে খুলে গেরো। ব্রাজিলের সেরা দুই তারকা ফিলিপ কৌতিনহো আর নেইমার গোল করে জিতিয়েছেন দলকে।
সেন্ট পিটার্সবার্গে ব্রাজিলের জয় ২-০ গোলে। দুই গোলই এসেছে ৯০ মিনিটের পর। ৯১ মিনিটে গোল করে স্বস্তি এনে দেন কৌতিনহো। ৯৭ মিনিটে নেইমার ঠুকেছেন শেষ পেরেক। দুই হারে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে কোস্টারিকার।
পুরো খেলায় ৭২ শতাংশ বল পায়ে ছিল ব্রাজিলের। গোল শট নিয়েছে ১০ বার। অন্যদিকে একবারও গোলে শট নিতে পারেনি কোস্টারিকা। একপেশে খেলেও তবু কেইলর নাভাস পরাস্ত করতে পারছিল না ব্রাজিল।
খেলার শুরু থেকেই বল দখলে নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছে ব্রাজিল। তবে কোস্টারিকার পোক্ত ডিফেন্স লাইনে বাধা পেয়ে জমতে পারেনি কোন আক্রমণ। ডি-বক্সের বাইরে সেটপিসগুলোর ঠিক ব্যবহার করা যায়নি নেইমারকেই সবগুলো ফ্রি-কিক মারতে দেখা গেছে। কিন্তু তিনি ঠিক নিশানা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। প্রথমার্ধে তবু নিশ্চিত দুই তিনটি গোলের সুযোগ হারায় ব্রাজিল। তবে প্রথমার্ধে ব্রাজিলের দুর্বলতা দিন ডান প্রান্ত। মিডফিল্ডার উইলিয়ান ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। করেছেন একের পর এক ভুল।
বিরতির পর উইলিয়ানের জায়গায় ডগলাস কস্তাকে নামিয়ে খেলার গতি পালটে দেন তিতে। ডান-বাম দুই দিক থেকেই আক্রমণ বাড়ায় পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৫৬ মিনিটে নেইমারের নেওয়া শট দারুণ ক্ষিপ্ততায় বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন নাভাস। ৭২ মিনিটে কোস্টারিকা রক্ষণের ভুলে বল নিয়ে দ্রুত ঢুকে শট নিয়েছিলেন নেইমার। তার শট বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
এর খানিক পর পড়ে গিয়ে পেনাল্টি আদায় করে ফেলেছিলেন নেইমার। তবে ভিএআর পরীক্ষার পর দেখা যায় এটা পেনাল্টি পাওয়ার মতো কোন ফাউল নয়। অভিনয় করায় শাস্তিও পেতে পারতেন এই তারকা। মেজাজ হারিয়ে হলুদ কার্ড দেখে অবশ্য শাস্তি পেয়েছেন পরে।
মাঝমাঠে আগের ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন কাসেমিরো। এদিন রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। তবে সবচেয়ে নজর কাড়া ছিল মার্সেলোর খেলা। বাম প্রান্ত দিয়ে বরাবরের মতো উপরে উঠে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি। শেষ দিকে গোল পাওয়ার জন্য মরিয়া ব্রাজিল মিডফিল্ডার পাওলিনহোর জায়গায় ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনোকে নামান তিতে। বেড়ে যায় আক্রমণের সংখ্যাও। ফল মিলে হাতেনাতে। ৯১ মিনিটে ফিরমিনোর হেড বক্সে পা দিয়ে নামান জেসুস। জটলা থেকে এগিয়ে এসে বুদ্ধিদীপ্ত শটে নাভাসকে ফাঁকি দেন কৌতিনহো। তখনই জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছিল ব্রাজিল। অতিরিক্ত সময়েরও একদম শেষে কস্তার কাছ থেকে পাস পেয়ে ফাঁকায় দাঁড়ানো নেইমার গোল করে খেল খতম করে দেন।
Comments