শেষ মুহূর্তের গোলে টিকে রইল জার্মানি
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/2018-06-23t202453z_262437428_rc1a6381b130_rtrmadp_3_soccer-worldcup-ger-swe.jpg?itok=LS0Qfcvi×tamp=1529786030)
মেক্সিকোর কাছে হার দিয়ে শুরু। এদিনও শুরুতে পিছিয়ে যাওয়া। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া, জমেছিল অনেক শঙ্কার মেঘ। গত ৮০ বছরে যা হয়নি, হতে যাচ্ছিল যেন সেটাই। তবে সব শঙ্কার মেঘ শেষ পর্যন্ত উবে গেছে মার্কো রিউস আর টনি ক্রুজের দুই গোলে। পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোলে জিতেই মাঠ ছেড়েছে জোয়াকিম লোর শিষ্যরা।
শনিবার রাতে সোচিতে খেলার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ১-১ সমতা ধরে রেখেছিল সুইডেন। ড্র হলেও জার্মানির প্রথম রাউন্ড পার হওয়ার সম্ভাবনা ঝুলে থাকত সুতোর উপর। যোগ করা সময়েরও একদম শেষ দিকে গিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের উল্লাসে মাতান টনি ক্রুস। বক্সের একদম কাছে ফ্রি-কিকে পা ছুঁইয়ে ক্রুসকে গোলের জন্য বল বানিয়ে দেন রিউস। দারুণ দক্ষতায় রিয়াল মাদ্রিদ তারকা বল জালে জড়ান।
এর আগে বিরতি থেকে ফিরে পিছিয়ে পড়া জার্মানিকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন আবার রিউসই। ৪৮ মিনিটে বা দিকের আক্রমণ থেকে টিমু ওয়ার্নার ক্রস করেছিলেন বক্সের ভেতর। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা রিউস টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান।
পুরো ম্যাচে সাংঘাতিক ট্যাকল করে জার্মানিকে পরে বিপদেই ফেলতে গিয়েছিলেন ডিফেন্ডার জেরম বোয়েটাং। ৮২ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। শেষ ১৫ মিনিট জার্মানিকে খেলতে হয়েছে একজন কম নিয়ে।
প্রথমার্ধ্ব জার্মানি যা খেলেছে তাতে তাদের এক গোলে পিছিয়ে যাওয়াই বিস্ময়ের। বাঁশি বাজার শুরু থেকেই তীব্র প্রেসিং ফুটবলে বেসামাল করে তুলে সুইডিশদের ডিফেন্স। প্রথম ৫ মিনিটেই ডিফেন্স ভেঙ্গে বার তিনেক ঢুকে পড়েছিল তারা।
কিন্তু গোলের সেভাবে সুযোগ আসে সুইডেনের সামনেই। জামার্নির অলআউট খেলার সুযোগে কাউন্টার অ্যাটাকে জমছিল বেশ। ১২ মিনিটে তেমন এক প্রতি আক্রমণ থেকে গোল হতেই পারত। মার্কাস বার্গ মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন, সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। পেছন থেকে ছুটে এসে তাকে সামলান ডিফেন্ডার জেরম বোয়েটাং। বক্সের মধ্যেই পড়ে যান বার্গ। সুইডেনের পেনাল্টি আবেদন পাত্তা দেননি রেফারি। নেননি ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তাও।
তখন পেনাল্টি না পেলেও খেলার ধারার একদম বিপরিতে ৩২ মিনিটেই অবশ্য এগিয়ে যায় সুইডেন। প্রতি আক্রমণে ক্লেসনের বাড়ানো বল বুকে নামিয়ে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে জালে পাঠান তৈবনেন।
এই গোল নিয়েই বিরতিতে যায় দুদল। বিরতির পর জার্মার আক্রমণের সামনে গোল ধরে রাখার সামর্থ্য দেখাতে পারেনি সুইডেন।
Comments