‘অবিচারের’ শিকার মরক্কো, বলছেন কোচ

প্রথম দুই ম্যাচে হেরে এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে মরক্কো। তবে দলটির কোচ হার্ভি রেনার্ড বলছেন, তাঁর দল ‘অবিচারের’ শিকার হয়েছে।
শেষ ম্যাচের আগে অনুশীলনে মরক্কো। ছবি: রয়টার্স

প্রথম দুই ম্যাচে হেরে এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে মরক্কো। তবে দলটির কোচ হার্ভি রেনার্ড বলছেন, তাঁর দল ‘অবিচারের’ শিকার হয়েছে।

শেষ ম্যাচে স্পেনের মুখোমুখি হওয়ার আগে গতকাল এমন দাবি করেছেন দলটির ফরাসি কোচ রেনার্ড। বিশেষ করে পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়েই যত ক্ষোভ ৪৯ বছর বয়সী এই কোচের, ‘আপনারা যদি পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচটির দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন আমাদের সাথে অবিচার করা হয়েছে। আমরা যে গোলটি খেলাম, সেটির আগে ওদের ডিফেন্ডার পেপে স্পষ্ট ফাউল করেছে। রেফারি কেন সেটি দেখলেন না? এরপর পেপে একটি হ্যান্ডবলও করলো। ঠিক একই রকম হ্যান্ডবলের কারণে ডেনমার্কের বিপক্ষে পেনাল্টি পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।’

‘আমার দৃষ্টিতে এটি চূড়ান্ত অবিচার। বিশেষ করে আমার খেলোয়াড়েরা গোটা ম্যাচে যেভাবে খেলেছে, সেটির পর আমি এটিকে অবিচার বলতে বাধ্য হচ্ছি। আপনাকে এটা বিবেচনায় রাখতে হবে, আমরা বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলছিলাম। এটা অন্যায্য যে আমরা এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছি। কিন্তু বাস্তবতা মেনে নেয়া ছাড়া কিছুই করার নেই আমাদের।’

মরক্কোর গোলকিপার মুনির আল-কাজোই ও বলছেন, তাঁর দলের এভাবে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়াটা দুঃখজনক, ‘রাশিয়ায় আসার পরেই কোচ আমাদের ভিএআর সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। আমরা প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ভিএআর সম্পর্কে সচেতন থেকেছি। কিন্তু কী অবস্থা দেখুন, সেই আমাদের বিপক্ষেই ভিএআর ম্যাচের গতিনির্ধারক হয়ে গেলো। বলতে গেলে এটিই আমাদের টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়েছে। ওই দুইটা মুহূর্তই আমাদের আঘাত করেছে।’

তবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও সমর্থকদের জন্য হলেও শেষ ম্যাচটা জিততে চান মুনির, ‘স্পেন দলে অনেক তারকা আছে, কিন্তু তাদের কাউকে নিয়েই আমি ভীত নই। ম্যাচটা অবশ্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের সম্মান বজায় রাখার জন্য, সমর্থকদের কিছুটা আনন্দ দেয়ার জন্য হলেও আমরা জেতার চেষ্টা করব।’

কোচ হার্ভি রেনার্ডও বলেছেন, শেষ ম্যাচে মরক্কোর মানুষকে গর্বিত করতে চায় তাঁর দল। 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago