মাদকবিরোধী অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

home minister
২৫ জুন ২০১৮, আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস হিসেবে পরিচিত মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের প্রাক্কালে সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ছবি: পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য/ স্টার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জোর দিয়ে বলেছেন মাদক ব্যবসা পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী চলমান মাদকবিরোধী অভিযান চলবে।

আগামী ২৭ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস হিসেবে পরিচিত মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের প্রাক্কালে আজ (২৫ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এদিকে, গত মে মাসের মাঝামাঝিতে শুরু হওয়া দেশব্যাপী ‘মাদকবিরোধী অভিযানে’ এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যুতে সরকার দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

মাদক ব্যবসা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অধিকাংশ ইয়াবা বড়ি প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে আসে। আমরা সেই দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। কিন্তু, তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।”

অপর প্রতিবেশী ভারত মাদক হিসেবে ব্যবহৃত ফেনসিডিলের কারখানাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নে জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, “মানুষ হত্যা করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। আমাদের সরকার হত্যাকাণ্ডের বিরোধী।”

তার মতে, অভিযান চলছে তালিকা অনুযায়ী। “যেখানেই মাদক রয়েছে, সেখানেই রয়েছে অবৈধ টাকা আর অস্ত্র। ফলে বন্দুকযুদ্ধ হতেই পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও এতে আহত হচ্ছেন,” যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ১২ মে শুরু হওয়া অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ‘মাদক ব্যবসায়ী’-কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

“আমাদের কারাগারে ৩৬ হাজার বন্দিকে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ এখন সেগুলোতে ৮০ হাজার বন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ বন্দি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতে,” যোগ করেন আসাদুজ্জামান।

কক্সবাজারের টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হকের হত্যার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “র‌্যাব এটি তদন্ত করছে এবং মন্ত্রণালয় তা দেখভাল করছে। তদন্ত শেষ হলে আপনাদের এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।”

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

8h ago