গাজীপুরে ভোট গণনা চলছে
গাজীপুরে আজ (২৬ জুন) অনুষ্ঠিত হওয়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে বিকাল ৪টায় গণনা শুরু হয়।
সকাল ৮টায় সিটি করপোরেশনের ৫৭ ওয়ার্ডের ৪২৫ ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। করপোরেশনে মোট ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন ভোটার রয়েছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী বিএনপি উভয় দলের জন্যে নির্বাচনটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়া এবং নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনসব বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার অভিযোগ করে বলেন যে ভোটগ্রহণ চলাকালে বিভিন্ন জায়গায় তার এজেন্টদের মারধর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠু-সুন্দর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
গাজীপুর থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান, সকাল ৮টায় নির্বাচন শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা সারি দেখা যায়। নির্বাচন উপলক্ষে আজ গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুরকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে গণ্য করা হয়। গত ১৯৯১ সাল থেকে অনুষ্ঠিত সব জাতীয় নির্বাচনে দলটি এখানে ভালো ফল করেছে। যদিও, বিএনপি প্রার্থী গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয় লাভ করে সবাইকে চমকে দিয়েছিল।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জানা যায়, মোট ৩৪৫ জন প্রার্থী নির্বাচনের পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে সাতজন লড়ছেন মেয়র পদে, কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন এবং সংরক্ষিত নারীর পদে ৮৩ জন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার, ইসলামী ঐক্য জোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মোহাম্মদ রুহুল আমিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমেদ।
নির্বাচন উপলক্ষে তিন-স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজার ৫০০ জন সদস্য সিটি করপোরেশনে মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
Comments