সম্ভাবনা শেষ হওয়ার পর জিতল পেরু
৩৬ বছর পর অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছিল পেরু। প্রথম দুই ম্যাচে ফ্রান্স আর ডেনমার্ককে কাঁপিয়ে দিয়েও জিততে পারেনি। উল্টো আগেভাগেই বিদায় নিশ্চিত হয় তাদের। শেষ ম্যাচে হারানোর ছিল না কিছু, মিলত কেবল সান্ত্বনা। তাই দুহাত ভরে ওটাই নিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ সম্ভাবনা যেটুকু ছিল তা নিঃশেষ হয় পেরুর ফরোয়ার্ডদের সামনে।
মঙ্গলবার সোচিতে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ হারায় পেরু। অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচে পেরুকে হারালেও অবশ্য লাভ হত না। একই সময়ে হওয়া গ্রুপের অন্য ম্যাচে যে ফ্রান্স-ডেনমার্ক ম্যাড়ম্যাড়ে খেলা থেকেছে গোলশূন্য।
সি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েই তাই দ্বিতীয় রাউন্ড খেলবে ফ্রান্স। এক জয় আর এক ড্রতে তাদের সঙ্গী ডেনমার্ক।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য ম্যাচটি বাঁচা মরার, পেরুর জন্য নিয়মরক্ষার। বাঁচা মরার বলেই পড়িমরি করে শুরু থেকেই আক্রমণে ছুটেছে অসিরা। তবে পেরুর জমাট রক্ষণ গোলের সেরকম সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না।
১৮ মিনিটে উল্টো গোল করে এগিয়ে যায় পেরু। মাঝ মাঠ লঙ পাসে আসা বল পেয়ে ওটা ধরে বা দিকে বক্সে ক্রস করেন পাওলো গরেরো। ফাঁকায় দাঁড়ানো আন্দ্রে কেরিল্লোর জোরালো শটে তা জালে জড়ান।
গোল শোধে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া পরের কয়েক মিনিটে তৈরি করে দারুণ কিছু সুযোগ। ২৬ মিনিটে দুরন্ত গতিতে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন রজিগ। তাকে হতাশ করেন পেরুর গোলরক্ষক। ৩১ ও ৩৩ অস্ট্রেলিয়ার পর পর দুই আক্রমণ খেই হারায় পেরুর বক্সে গিয়ে।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময় আর তেমন সুযোগ তৈরি হয়নি। জেতার তাড়নায় ক্ষিপ্র অস্ট্রেলিয়ার পায়েই বেশিরভাগ সময় ছিল বল।
প্রথম গোল তৈরি করে দিয়েছিলেন যে গরেরো, বিরতির পর নেমেই তিনি পান গোল। ৪৯ মিনিটে এডিসন ফ্লরেস বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে বল দেন গরেরোর পায়ে। অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ২-০ করে দেন ব্যবধান।
তখনই মূলত শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাবনা। খেলার লাগাম পুরোটাই এরপর চলে আসে পেরুর কাছে। যা আর হাতছাড়া করেনি তারা। বাকিটা সময় চেষ্টা চালিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রতি আক্রমণে আরও একাধিক গোলের সুযোগ এসেছিল পেরুর সামনেও। তবে কেউই আর গোল পায়নি।
Comments