স্নায়ুচাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন ম্যারাডোনা
ম্যাচের শেষ হওয়ার আর মিনিট কয়েকবাকি। আর্জেন্টিনা গোল দিতে পারছে না, পর্দায় ভেসে উঠছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার মুখ। তার চেহেরায় অস্থিরতা বুঝিয়ে দিচ্ছে গোটা পরিস্থিতির আবহ। ৮৬ মিনিটে মার্কোস রোহোর গোলের পর সেই অস্থিরতা রূপ নেয় বুনো উল্লাসে। আবেগের এই উঠানামা ঠিক নিতে পারেনি ম্যারাডোনার শরীর। রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ম্যাচে গ্যালারিতে তাঁর উপস্থিতি দেখা গেছে নিয়মিতই। পুরো সময় মাঠে থেকে মেসিদের অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন ’৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক। ছিলেন নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গতকালের ম্যাচেও। রোলার কোস্টারের মতো দিক বদল করা ম্যাচের শেষভাগে এসে আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনা, আর তাতেই হয়ে পড়েন অসুস্থ।
চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। অসুস্থ বোধ করায় সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। পরে বাকিদের সহায়তায় এক্সিকিউটিভ বক্সে নেয়া হয় তাঁকে।
ম্যারাডোনার এমন অবস্থায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল চারপাশে, তবে দ্রুতই চিকিৎসক দল এসে ম্যারাডোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ম্যারাডোনার বন্ধু ও আর্জেন্টাইন সাংবাদিক মার্টিন আরেভালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়ায় অসুস্থ বোধ করেছিলেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন পত্রিকা লা নাসিওন ও একই তথ্য জানিয়েছে। চিকিৎসা শেষে ম্যারাডোনা নিজের পায়ে হেঁটেই স্টেডিয়াম ছেড়েছেন বলেও জানিয়েছে পত্রিকাটি।
এই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকার টেলিভিশন চ্যানেল টেলিসারের হয়ে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন ম্যারাডোনা। সেই টেলিসার কর্তৃপক্ষ ম্যাচের পর একটি ছবি পোস্ট করে বলেছে, ফ্লাইটে করে মস্কোতে নেয়া হচ্ছে ম্যারাডোনাকে।
আগামী ৩০ জুন কাজানে নকআউট পর্বের ম্যাচে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে ম্যারাডোনা গ্যালারিতে থাকবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি কেউ।
Comments