জম্পেশ মুডে আছেন ব্রাজিল কোচ

ফিক্সচার ঘোষণার পরই ‘ই’ গ্রুপ থেকে ফেভারিট ধরা হয়েছিল ব্রাজিলকে। প্রত্যাশামাফিক খেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের পর্বে পা রেখেছে ব্রাজিল। প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় ব্রাজিল কোচ তিতে তাই এখন উদযাপনের মুডে আছেন।
Tite

ফিক্সচার ঘোষণার পরই ‘ই’ গ্রুপ থেকে ফেভারিট ধরা হয়েছিল ব্রাজিলকে। প্রত্যাশামাফিক খেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের পর্বে পা রেখেছে ব্রাজিল। প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় ব্রাজিল কোচ তিতে তাই এখন উদযাপনের মুডে আছেন।

পাওলিনহো ও থিয়াগো সিলভার দুই অর্ধের দুই গোলে সার্বিয়াকে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তিতের দল। পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ মেক্সিকোকে নিয়ে ভাবার আগে তাই প্রাথমিক এই অর্জনটাকে একটু উদযাপন করে নিতে চাইছেন তিনি। ম্যাচ শেষে নিজেই জানিয়েছেন উদযাপনের পরিকল্পনার কথা, ‘বেশ শান্তি লাগছে এখন। আজ রাতে কাইপিরিনহা (ব্রাজিলের জাতীয় ককটেল) দিয়ে উদযাপন করব।’

সুইজারল্যান্ডের সাথে ড্র দিয়ে শুরু করলেও ধীরে ধীরে নিজেদের চেনা ছন্দে ফিরছে ব্রাজিল। প্রতি ম্যাচেই দলের এই উন্নতির ধারায় খুশি ব্রাজিল বস, ‘বিশ্বকাপে সাফল্য পাওয়া নির্ভর করে খেলোয়াড়দের মধ্যকার মানবিক সম্পর্কের উপর। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ কেমন, খেলোয়াড়েরা একে অন্যের সাথে কীভাবে মিশছে, নিজেদের দায়িত্ব, খুশি কীভাবে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে- এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোচ হিসেবে আমার দায়িত্ব এগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।’

সামনের ম্যাচগুলোতেও এই উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে বিশ্বাস তিতের, ‘আবেগের কথা যদি বলি, এই দলকে আরও পরিণত হতে হবে। তবে শেষ তিন ম্যাচে তারা অনেকটা পরিণত হয়েছে। এখান থেকে এই দল শুধু উন্নতির পথেই এগোতে পারে।’

খেলোয়াড়েরা যেন আত্মতুষ্টিতে না ভোগেন সেজন্যও নিজস্ব পদ্ধতি খাটান তিতে, ‘আমি ওদের প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করি। একটা নির্দিষ্ট মানে পৌঁছে গেলে আমি ওদের আরও উঁচুতে ওঠার জন্য চ্যালেঞ্জ জানাই, প্রতিনিয়ত ওদের প্রতিভার গণ্ডি ছাড়িয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ জানাই। দলের সামর্থ্যের সীমারেখা সম্পর্কে কখনোই শেষ সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন না আপনি। বিশ্বকাপ খুব ছোট একটি টুর্নামেন্ট, এখানে আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

বিশ্বকাপে আসার আগেই সমর্থকদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে এসেছে তিতের দল, সেটাও নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়েই। তবে তিতে বলছেন, তারা প্রত্যাশায় নয়, বরং বাস্তবতায় বিশ্বাসী, ‘আমরা প্রত্যাশা নিয়ে না, বাস্তবতা নিয়ে বাঁচি। সমর্থকেরা প্রত্যাশা করবেই, কারণ আমরা বাছাইপর্ব ও প্রীতি ম্যাচগুলোতে ভালো খেলেছি। কিন্তু বিশ্বকাপ একটি সম্পূর্ণ নতুন ফরম্যাট। আমি বিশ্বাস করি প্রত্যাশার চাপের সাথে মানিয়ে নেয়ার সামর্থ্য আমার দলের আছে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago