সংখ্যায় সংখ্যায় জাপান-পোল্যান্ড ম্যাচ
ম্যাচটা দুই দলের জন্য দুই রকম। জাপান যেখানে খেলবে শেষ ষোলো নিশ্চিত করার জন্য, পোল্যান্ড সেখানে দেশে ফেরার আগে একটা জয় পেতে চাইবে। তার আগে দুই দলের পরিসংখ্যানের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক।
হেড টু হেড:
১) দুই দল এর আগে দুবার মুখোমুখি হয়েছে, দুবারই পোল্যান্ডকে হেসেখেলে হারিয়েছে জাপান। দুই ম্যাচে এশিয়ার দেশটি মোট গোল দিয়েছে সাতটি, খায়নি একটিও।
২) ১৯৯৬ এর ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার মুখোমুখি হয় দুই দল, জাপান জিতেছিল ৫-০ গোলে। এরপর ২০০২ এর মার্চে পোল্যান্ডের মাটিতে গিয়েও ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল জাপান। তবে দুটিই ছিল প্রীতি ম্যাচ।
৩) প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
জাপান:
১) গ্রুপ পর্বে একটিও ম্যাচ না হেরে জাপান পরের পর্বে উঠেছে মাত্র একবারই, যুগ্ম স্বাগতিক হিসেবে ২০০২ বিশ্বকাপে। সেবার গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের মধ্যে জাপান জিতেছিল দুইটিতে, আর ড্র করেছিল একটি ম্যাচ।
২) বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই গোল করতে পারেনি জাপান। এই পাঁচ ম্যাচের মধ্যে যেই একটিতে গোল করতে পেরেছে, জিতেছেও কেবল সেই একটি ম্যাচেই, ২০১০ বিশ্বকাপে ডেনমার্কের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছিল তারা। আর যে চার ম্যাচে গোল করতে পারেনি, সেগুলোর মধ্যে হেরেছে দুইটি, আর ড্র করেছে দুইটি।
৩) সেনেগালের বিপক্ষে গোল করে তিনটি ভিন্ন বিশ্বকাপে গোল করা একমাত্র জাপানি ফুটবলার হয়ে গেছেন কেইসুকে হোন্ডা (২০১০, ২০১৪, ২০১৮)।
৪) জাপানের শেষ ১০ বিশ্বকাপ গোলের মধ্যে ৭ টিতেই প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন হোন্ডা (৪ গোল, ৩ অ্যাসিস্ট)।
পোল্যান্ড:
১) একটি ম্যাচ না জিতেও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে পোল্যান্ড, এমন ঘটনা এর আগে মাত্র একবারই ঘটেছে, ১৯৩৮ বিশ্বকাপে। সেবারই প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল দলটি। ওই আসরের ফরম্যাট ছিল শুরু থেকেই নকআউট, প্রথম ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় ব্রাজিলের কাছে ৬-৫ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা।
২) রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়া প্রথম ইউরোপিয়ান দল পোল্যান্ড। এই নিয়ে শেষ তিনবার বিশ্বকাপে উঠে তিনবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলো পোলিশরা (২০০২, ২০০৬ ও ২০১৮)।
৩) ২০০২ ও ২০০৬ এ গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও নিজেদের শেষ ম্যাচটা ঠিকই জিতেছিল পোল্যান্ড।
৪) বিশ্বকাপে এশিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাত্র একবারই মুখোমুখি হয়েছিল পোল্যান্ড, ২০০২ বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলে ২-০ তে হেরেছিল তারা।
৫) ১৯৮৬ বিশ্বকাপে পর্তুগালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতার পর বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচের একটিতেও ক্লিন শীট রাখতে পারেনি দলটি। এই ১০ ম্যাচে গোল খেয়েছে মোট ২৩ টি।
Comments