‘গুলশানে জঙ্গি হামলার অভিযোগপত্র আগামী সপ্তাহের মধ্যে’

দুই বছর আগে সংঘঠিত রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার অভিযোগপত্র আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা।
holey artisan
২০১৬ সালের ১ জুলাই অস্ত্রধারী জঙ্গিরা গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে। ছবি: ফাইল ফটো

দুই বছর আগে সংঘঠিত রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার অভিযোগপত্র আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া আজ (২৮ জুন) বলেন, “হামলার ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষ করেছি। এর অভিযোগপত্র আগামী সাত থেকে ১১ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।”

২০১৬ সালের ১ জুলাই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে সেখানে অবস্থানরত লোকজনদের জিম্মি করে। প্রায় বারো ঘণ্টার অভিযানে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও ২০ জন জিম্মি নিহত হন। দেশের ইতিহাসে সেটিই ছিল সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আমরা প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি শাস্তি না পান।”

দেশব্যাপী পরিচালিত বিভিন্ন জঙ্গিবিরোধী অভিযানে অনেক অভিযুক্ত জঙ্গি নিহত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “তবে অনেক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অনেকে পলাতকও রয়েছে।”

এর আগেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার হোলি আর্টিজানে হামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়ে কথা বললেও দুই বছর পার হওয়ার পরও এ বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রসর দেখা যায়নি।

এখন পর্যন্ত সেই ঘটনায় অন্তত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক রয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ছয়জন তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানা যায়।

গত ২৪ জুন ঢাকার একটি আদালত কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-কে হোলি আর্টিজান হামলা মামলার তথ্য-প্রমাণাদি ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে দাখিল করতে বলেছে।

উল্লেখ্য, সিটিটিসি-র প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে নবম বারের মতো তারিখ পেছানো হলো।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago