ফেয়ার প্লের ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে জাপান

ম্যাচটা যখন শেষ হলো তখন হতাশায় বসে পড়েছিলেন জাপানি খেলোয়াড়রা। কারণ পোল্যান্ডের কাছে ০-১ গোলে ম্যাচটা যে হেরে গিয়েছে তারা। কিছুক্ষণ পরই হাসি হাসি ফিরে আসে সবার মুখে। অপর ম্যাচে যে হেরে গিয়েছে সেনেগাল। হেড টু হেড ও গোল ব্যবধান দুটোতেই সমান হলেও দ্বিতীয় রাউন্ডের পথটা খুঁজে পেল কম ফাউল করায়। ফলে চলতি আসরের একমাত্র এশিয়ান দল হিসেবে শেষ ষোলোতে উঠল জাপান।

ম্যাচটা যখন শেষ হলো তখন হতাশায় বসে পড়েছিলেন জাপানি খেলোয়াড়রা। কারণ পোল্যান্ডের কাছে ০-১ গোলে ম্যাচটা যে হেরে গিয়েছে তারা। কিছুক্ষণ পরই হাসি ফিরে আসে সবার মুখে। অপর ম্যাচে যে হেরে গিয়েছে সেনেগাল। হেড টু হেড ও গোল ব্যবধান দুটোতেই সমান হলেও দ্বিতীয় রাউন্ডের পথটা খুঁজে পেল কম ফাউল করায়। ফলে চলতি আসরের একমাত্র এশিয়ান দল হিসেবে শেষ ষোলোতে উঠল জাপান।

এবারের আসরে নতুন নিয়ম করেছে ফিফা। হেড টু হেড ও গোল ব্যবধান দুটোতেই সমান হলে ফেয়ার প্লে বিবেচনা করা হবে প্রথমে। এরপর টস। তাতে অপেক্ষাকৃত কম কার্ড দেখায় দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকেট পেল জাপানই। তিন ম্যাচে তারা হলুদ কার্ড পেয়েছিল চারটি। অপর দিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে ছয়টি হলুদ কার্ড দেখে সর্বনাশ ডেকে আনে সেনেগালের খেলোয়াড়েরা। ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে এ নিয়মে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকেট পেল এশিয়ান টাইগাররা।

এদিন অবশ্য ম্যাচ জেতার মতো ভালো খেলতে পারেনি জাপান। শুরু থেকেই তাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে খেলে আগের দুই ম্যাচে হেরে বিদায় নেওয়া পোল্যান্ড। বেশ কিছু সহজ সুযোগ পেলেও লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছে একবারই। রবার্ট লেভানডস্কি এ ম্যাচেও ছিলেন সুপার ফ্লপ। অথচ বাছাই পর্বে ১৬টি গোল দিয়ে ইউরোপের সেরা গোলদাতাই ছিলেন তিনি।

লেভানডস্কি না পারলেও পেরেছেন তার সতীর্থ জান বেদনারেক। জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম গোলটি দিয়ে পোল্যান্ডকে পূর্ণ পয়েন্ট তুলে নেওয়ার তৃপ্তি এনে দেন। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে রাফাল কুরজাওয়ার ফ্রিকিক থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে আলতো টোকায় জালে জড়ান তিনি।

তবে এদিন গোল করার মতো এর চেয়ে সহজ সুযোগ পেয়েছিল পোল্যান্ড। ৩৪ মিনিটে নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কামিল গ্রসিস্কি। বারতোজ বেরসজিনস্কির ক্রস থেকে বার ঘেঁষে মাপা হেডটা দুর্দান্ত দক্ষতায় ফিরিয়ে দিলেন জাপানি গোলরক্ষক ইজি কাওয়াশিমা। রাগে দুঃখে তখন কেঁদেই দিয়েছেন তিনি।

৭৩ মিনিটে দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা পান লেভানডস্কি। গ্রসিস্কির ক্রস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এতো সহজ সুযোগ পেয়েও বারের উপর দিয়ে বল মারেন এ বায়ার্ন মিউনিখ তারকা। ৮১ মিনিটে আত্মঘাতী গোল খাওয়ার পথে ছিল জাপান।  তবে ঝাঁপিয়ে পরে রক্ষা করেন জাপানি গোলরক্ষক।

মাঝে মধ্যে আক্রমণ চালিয়েছে জাপানও। তবে গোল করার মতো সুযোগ গড়তে পারেনি তারা। তাই ০-১ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। কিন্তু ভাগ্য বিধাতা তাদের সঙ্গে ছিল বলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখে এশিয়ার দলটি।

Comments