আফ্রিকান দলগুলো পেছন দিকে পা বাড়িয়েছে: দ্রগবা
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/didier-drogba.jpg?itok=pS6821qQ×tamp=1530270136)
আইভরি কোস্টের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপ খেলেছেন। শুধু আইভরি কোস্টের ইতিহাসেই নয়, আফ্রিকান ফুটবল ইতিহাসেই কিংবদন্তির মর্যাদা পান দিদিয়ের দ্রগবা। সেই দ্রগবা বলছেন, রাশিয়া বিশ্বকাপে এগোনো তো দূরের কথা, বরং পেছন দিকে এক পা বাড়িয়েছে আফ্রিকান দলগুলো।
জাপানের কাছে সেনেগালের বিদায়ের পরই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, এবার নক আউট পর্বে থাকছে না একটিও আফ্রিকান দল। সর্বশেষ এমনটা হয়েছিল ৩৬ বছর আগে, ১৯৮২ বিশ্বকাপে। এরপর টানা আটটি বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে অন্তত একটি আফ্রিকান দল। কিন্তু এবার সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছে। বিশ্বকাপে বিবিসির হয়ে কাজ করা দ্রগবা তাই বলছেন, পিছিয়ে পড়েছে আফ্রিকান ফুটবল, ‘একদিন আফ্রিকার দলগুলো নিশ্চয়ই সফল হবে। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে আমাদের কীভাবে খেলা উচিত, সে বিষয়ে বিস্তারিত চিন্তা করার সময় এসে গেছে।’
আফ্রিকান দলগুলোর কাঠামো ঢেলে সাজানো ও ভবিষ্যতে এমন টুর্নামেন্টে আসার আগে আরও ভালো পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে আসার জন্যও আহবান জানিয়েছেন দ্রগবা। এছাড়া ইউরোপিয়ান দলগুলোর সাথে বেশি বেশি ম্যাচ খেলার ব্যাপারেও জোর দিয়েছেন তিনি।
পারফরম্যান্সের দিক থেকে এবারের বিশ্বকাপটা বেশ মলিনই কেটেছে আফ্রিকান পাঁচ দলের। পাঁচ দল মিলে মোট খেলেছে ১৫ টি, এর মধ্যে জিততে পেরেছে মাত্র ৩ টি ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ শুরুর আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মিশর, মরক্কো ও তিউনিশিয়ার। শেষ ম্যাচে পরের পর্বে যাওয়ার লড়াই করেছে কেবল নাইজেরিয়া আর সেনেগাল, কিন্তু জিততে পারেনি কোন দলই।
সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে মিশর। ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে আসা দেশটির সবচেয়ে বড় ভরসা ছিলেন মোহামেদ সালাহ। নিজে দুই গোল করলেও দলকে কোন পয়েন্ট এনে দিতে পারেননি চোট নিয়ে বিশ্বকাপে আসা সালাহ। শেষ ম্যাচে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোলে হারতে হয়েছে এশিয়ার দল সৌদি আরবের কাছে।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে কেবল তিনটি আফ্রিকান দল কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পেরেছে- ১৯৯০ বিশ্বকাপে রজার মিলার ক্যামেরুন, ২০০২ বিশ্বকাপে সেনেগাল ও ২০১০ বিশ্বকাপে ঘানা।
হতাশার এই মুহূর্তে আফ্রিকানদের জন্য সুখবর একটাই, ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে বিশ্বকাপে আফ্রিকান দল পাঁচটি থেকে বেড়ে হচ্ছে নয়টি।
Comments