সংখ্যায় সংখ্যায় আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচ

টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচেই বাদ পড়তে হচ্ছে যেকোনো এক সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে। তবে সেটা আর্জেন্টিনা হবে না ফ্রান্স তা জানা যাবে খেলা শেষেই। এর আগে দুই দলের পরিসংখ্যানের দিকে একবার চোখ বুলানো যাক।
Argentina Training
ফ্রান্সের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ের আগে অনুশীলনে আর্জেন্টিনা। ছবি: রয়টার্স

টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচেই বাদ পড়তে হচ্ছে যেকোনো এক সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে। তবে সেটা আর্জেন্টিনা হবে না ফ্রান্স তা জানা যাবে খেলা শেষেই। এর আগে দুই দলের পরিসংখ্যানের দিকে একবার চোখ বুলানো যাক।

হেড টু হেড:

১) বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা।

২) সব মিলিয়ে এই নিয়ে ১২ তম বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে আর্জেন্টাইনরা, ফরাসিদের দুইবারের জয়ের বিপরীতে আর্জেন্টিনা জিতেছে ছয় বার।

৩) শেষ ১১ ম্যাচের মধ্যে ৮ টিতেই আর্জেন্টিনার জালে বল জড়াতে পারেনি ফ্রান্স।

৪) রাশিয়া বিশ্বকাপে এই প্রথমবারের মতো দুই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মুখোমুখি হচ্ছে।

আর্জেন্টিনা:

১) বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ চারটি নকআউট ম্যাচে মাত্র দুই গোল করতে পেরেছে আর্জেন্টিনা।

২) অন্তত এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছে, বিশ্বকাপে এমন শেষ ২৭ ম্যাচের প্রতিটিতেই জিতেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে এর ব্যতিক্রম একবারই হয়েছে দলটির সাথে, ১৯৩০ বিশ্বকাপ ফাইনালে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েও উরুগুয়ের কাছে ৪-২ গোলে হেরেছিল তাঁরা।

৩) বিশ্বকাপে পাঁচবার পেনাল্টি শুট আউটের সামনে পড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে, অন্য কোন দেশকে এতবার পেনাল্টি ভাগ্যের সাথে লড়তে হয়নি। এই পাঁচবারের মধ্যে চারবারই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তাঁরা।

৪) শেষ পাঁচটি বিশ্বকাপের মধ্যে চারটিতেই অন্তত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। কেবল ২০০২ বিশ্বকাপেই গ্রুপ পর্ব পার করতে পারেনি তাঁরা।

৫) গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার চারটি নকআউট ম্যাচের তিনটিই গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে।

France Training

ফ্রান্স:

১) বিশ্বকাপে লাতিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিজেদের শেষ আট ম্যাচে হারেনি ফ্রান্স। সবশেষ হেরেছিল এই আর্জেন্টিনার বিপক্ষেই, ১৯৭৮ বিশ্বকাপে ২-১ গোলে হেরেছিল তাঁরা।

২) পেনাল্টি শুট আউট বাদ দিলে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে শেষ ১১ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছে ফ্রান্স, গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে।

৩) বিশ্বকাপে শেষ ষোলো পর্বের প্রবর্তন হয় ১৯৮৬ বিশ্বকাপে। সেই থেকে ফ্রান্স যতবার শেষ ষোলোতে উঠেছে, ততবারই সেই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে তাঁরা (১৯৮৬, ১৯৯৮, ২০০৬ ও ২০১৪)।

৪) গ্রুপ পর্বে মাত্র একটি গোলই হজম করেছে ফ্রান্স, সেটিও আবার পেনাল্টি থেকে। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম গ্রুপ পর্বে ওপেন প্লে থেকে কোন গোল হজম করেনি দলটি।

৫) ফ্রান্সের হয়ে এই নিয়ে ৮০ তম বারের মতো ডাগআউটে দাঁড়াবেন দিদিয়ের দেশম। রেমন্ড ডমিনিখের রেকর্ড ভেঙে তিনিই হবেন ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে দায়িত্ব সামলানো কোচ।

Comments