এমবাপের জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার বিদায়

প্রথমার্ধে দুবার বল পেয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। ক্ষিপ্র গতিতে, আর্জেন্টিনার ডিফেন্স ভেদ করে তেড়েফুঁড়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন। একবার বক্সের মধ্যে তাকে ফেলে দিয়ে পেনাল্টিতে গোল হজম করে আর্জেন্টিনা, আরেকবার ফ্রি-কিকে বেঁচে যায়। বিরতির পর আরও এমন ক্ষিপ্র দেখিয়েছেন দুবার। দুবারই গোল পেয়েছে ফ্রান্স। পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স।

শনিবার কাজান এরিয়ানায় আর্জেন্টিনাকে ফ্রান্স হারায় ৪-৩ গোলে। যদিও সার্জিও আগুয়েরোর করা শেষের গোলটি যখন এসেছে তখন অনেকটাই নিশ্চিত ফ্রান্সের জেতা। ফ্রান্সের হয়ে চার গোলের দুটি দেন এমবাপে, একটি করে গোল করেন পাভার্ড ও আঁতোয়ান গ্রিজম্যান। আর্জেন্টিনার প্রথম দুই গোলদাতা অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, গ্যাব্রিয়েল মার্কাডো।

খেলার শুরু থেকেই কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলার কৌশল নেয় ফ্রান্স। আর্জেন্টিনা ছিল ৪-৩-৩ ফরম্যাটে আক্রমণের মেজাজে। তবে ফ্রান্সের পোক্ত রক্ষণে সেসব আক্রমণ রূপ পায় প্রতি আক্রমণ। 

এমন পরিস্থিতিতে নবম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত ফ্রান্স। ডি বক্সের বাইরে থেকে আঁতোয়ান গ্রিজম্যানের দারুণ ফ্রি-কিক বারে লেগে ফিরে আসে।  এক মিনিট পরই অবশ্য সাফল্য আসে।

১০ মিনিটে বক্সের মধ্যে কিলিয়ান এমবাপেকে ফেলে দেন আগের ম্যাচের হিরো মার্কাস রোহো। সেখান থেকে ১৩ মিনিটে গ্রিজম্যানের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। 

খানিক পর এই এমবাপেই ব্যবধান বাড়াতে পারতেন। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে পল পগবার বাড়ানো অসাধারণ পাস ধরে আর্জেন্টিনার রক্ষণ ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছিলেন এমবাপে। বক্সের সামান্য বাইরে নিকোলাস তাগলিয়াফিকো ফেলে দেন এমবাপেকে। ওখান থেকে ফ্রি-কিক উড়িয়ে মারেন পগবা।

৪১ মিনিটে দারুণ গোলে দলকে খেলায় ফেরান ডি মারিয়া। এভার বনেগার কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে বা পায়ের বাঁকানো শটে চোখ ধাঁধানো গোল করেন ডি মারিয়া।

বিরতির পরই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৪৮ মিনিটে মার্কোডোর গোলের উৎস একটি সেট পেস। বক্সের বা পাশের বাইরে ডি মারিয়াকে ফেলে দেওয়ায় ফাউল পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে বল যায় ডান পাশে মেসির পায়ে। মেসির শট ক্লিয়ার করার জন্য প্রস্তুত ছিল না ফ্রান্সের রক্ষণ। গ্যাবব্রিয়েল মার্কাডোর পায়ে লেগে দিক বদল হয়ে তা জালে ঢুকে যায়।

৫৫ মিনিটে ডিফেন্সের ভুলে সমতায় ফিরতে পারত ফ্রান্সও। তখন না হলেও তার দু মিনিট পরই আচমকা শটে দলকে সমতায় ফেরান পাভার্ড। এরপরই এমবাপের ঝলক। ৬৪ থেকে ৬৮ মিনিটে ম্যাচ জেতানো দুই গোল আসে এমবাপের পা থেকে। জোড়া গোল করে ব্যবধান করে ফেলেন ৪-২। দুই গোলই এসেছে ফ্রান্সের মিডফিল্ডের তৈরি করা দুই আক্রমণ থেকে। প্রথমটিতে তাকে বলের যোগান দেন হ্যান্ডারসন। মাঝমাঠ থেকে তৈরি হওয়া আক্রমণে পরেরটি বাড়িয়ে দেন অলিভিয়ার জিরুড। 

৮৪ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। হুগো লরিসের সামনে তার ডান পায়ের দুর্বল শট কোন কাজে আসেনি। মেসি মিস করলেও ৯২ মিনিটে গোল হেডে গোল করে ব্যবধান কমিয়েছিলেন বদলি নামা আগুয়েরো। আগুয়েরোকে অবশ্য বলটি বানিয়ে দেন মেসিই। ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার। উলটা তারা মেজাজ হারিয়েছে বারবার। পুরো ম্যাচে পাঁচটি হলুদ কার্ড পায় তারা। 

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt calls for patience as it discusses AL ban with parties

Taken the initiative to introduce necessary amendments to the ICT Act, says govt

1h ago