‘মেসির সেরাটা বের করার সবরকম চেষ্টাই করেছে আর্জেন্টিনা’

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই যেন নিজের সেরা ফর্মের ধারেকাছে যেতে পারেননি লিওনেল মেসি। অনেকেই এর কারণ হিসেবে দায়ী করছেন সাম্পাওলির মেসিকে ঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারাকে। তবে সাম্পাওলি বলছেন, মেসির সেরাটা বের করে আনার সবরকম চেষ্টাই করেছেন তিনি।
ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে মেসিকে ফলস নাইন পজিশনে খেলিয়েছেন সাম্পাওলি, গার্দিওলার অধীনে যে পজিশনে খেলেই বিশ্ব মাতিয়েছেন মেসি। কিন্তু এদিন ফলস নাইন পজিশনে খেলেও তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ফ্রান্সের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে সাম্পাওলি জানিয়েছেন, মেসিকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করার সবরকম চেষ্টাই করেছেন তিনি, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের সেরা ফুটবলার আছে। তাঁকে যথাযোগ্যভাবে ব্যবহারের জন্য আমাদের সবাইকে একসাথে খেলতে হতো। আমরা অনেক ভিন্ন ভিন্ন ট্যাকটিকস ব্যবহার করে দেখেছি। ওকে কেন্দ্র করে খেলার চেষ্টা করেছি, ওর জন্য স্পেস তৈরি করার চেষ্টা করেছি, ওর জ্বলে ওঠার জন্য সম্ভাব্য যা যা কিছু করা দরকার ছিল, সবটাই করেছি আমরা। কখনো আমরা সফল হয়েছি, আবার কখনো হইনি।’
অনেক আশা করে বিশ্বকাপের জন্য তাঁর হাতে দলের দায়িত্ব সঁপে দিয়েছিল এএফএ। সাম্পাওলি সেই আশা পূর্ণ করতে পারেননি। তবে বিশ্বকাপ স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলেও তাঁর অধীনে আর্জেন্টিনার সময়কালকে একেবারে ব্যর্থ বলতে নারাজ তিনি, ‘ব্যর্থতা শব্দটা আমি পছন্দ করি না। প্রত্যেকটি অনুশীলন সেশনে আমার নিজস্ব একটি পরিচয় তৈরি করার চেষ্টা করতে হয়েছে, যা খুবই হতাশাজনক। আমি মনে করি না আগের দলগুলোর সাথে আমার দলের খুব বেশি পার্থক্য ছিল। তারা প্রতিআক্রমণে খেলাতো, আমি বলের পজিশন ধরে রেখে খেলিয়েছি।’
‘আমার মতে আর্জেন্টিনা সত্যিকারের লড়াকু দলের মতোই খেলেছে। ফ্রান্স দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল করেছে ঠিকই, কিন্তু আমরাও লড়ে গেছি, সুযোগ তৈরি করেছি এবং সমতাও এনে ফেলেছিলাম প্রায়।’
পুরো টুর্নামেন্টেই দলের খেলোয়াড়দের বোঝাপড়া প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। সাম্পাওলিকে জবাব দিতে হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রশ্নেরও, ‘হতে পারে আমরা পর্যাপ্ত সময় পাইনি, তাই সবার মধ্যে বোঝাপড়াটাও সেরা উপায়ে গড়ে ওঠেনি। কিন্তু আমি নিশ্চিত, আর্জেন্টাইন ফুটবলের ভবিষ্যৎ দারুণ কিছু খেলোয়াড়ের হাতেই আছে। সেরা দল হয়ে উঠতে হলে এই তরুণদের নিয়ে কাজ করে যেতে হবে আমাদের।’
Comments