বেলজিয়াম বনাম জাপান : ভবিষ্যদ্বাণী, একাদশ ও রেকর্ড
গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষে নকআউট পর্ব শুরু। হারলেই বিদায়। তাই সর্বোচ্চটা বাজি রেখেই খেলবে দলগুলো। এদিন দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বর্তমান সময়ের অন্যতম শক্তিশালী দল বেলজিয়ামের মোকাবেলা করবে এশিয়ার দল জাপান।
টুর্নামেন্টের ডাক হর্স বেলজিয়াম। প্রতিটি বিভাগে দারুণ সব খেলোয়াড় নিয়ে গড়া দলটির কম্বিনেশন চমৎকার। মাঠেও গোছানো ফুটবল খেলছে তারা। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই জয়। প্রতিপক্ষ জাপান অনেকটা ভাগ্যের জোরে খেলছে শেষ ষোলো। তবে অঘটন ঘটাতে পটীয়সী দলটি কিছু একটা করে ফেলতেই পারে।
ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা জানা যাবে ম্যাচ শেষে, তবে তার আগেই ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, কৌশলও তুলে ধরা হলো-
কখন?
বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা, সোমবার, ২ জুলাই।
কোথায়?
রোস্তভ অ্যারেনা, রোস্তভ-অন-ডন
নজরে থাকবেন যারা
দারুণ ছন্দে থাকা রোমেলু লুকাকুই গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের পার্থক্য। ৪টি গোল দিয়ে আছেন গোল্ডেন বুটের প্রতিযোগিতায়। তবে কেভিন ডি ব্রুইন ম্যাচের সবচেয়ে বড় তারকা। মধ্য মাঠের মধ্য মণি। চলতি মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির রেকর্ড লিগ শিরোপা জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। আছেন এডেন হ্যাজার্ডের মতো খেলোয়াড়। অনেকেই তাকে মেসি-রোনালদোর সম পর্যায়ের খেলোয়াড় বলেই দাবি করে।
দলের বড় তারকা না থাকলেও একতাকে শক্তি মেনে গোছানো ফুটবল খেলে থাকে জাপান। কাগাওয়া, ওকাজাকি, নাগামোতোর মতো খেলোয়াড়রা গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের পার্থক্য।
আরও পড়ুনঃ রেকর্ডবুকে ক্রোয়েশিয়া গোলকিপার সোবাসিচ
সম্ভাব্য একাদশ ও ম্যাচের কৌশল
বেলজিয়াম : (৩-৪-৩) কর্তোয়া, অ্যালডারউইয়ারল্ড, কম্পানি, ভেরটনঘেন, মিউনিয়ার, ডি ব্রুইন, উইসেল, কারাসকো, মার্টিনস, লুকাকু, হ্যাজার্ড।
জাপান : (৩-৪-৩) কাওয়াশিমা, সাকাই, ইউসিদা, শোজি, নাগামোতো, হেসেবে, শিবাসাকি, হারাগুচি, কাগাওয়া, ইনুই ও ওসাকো।
ভবিষ্যদ্বাণী : শক্তি, সামর্থ্য, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই সবই কথা বলে বেলজিয়ামের পক্ষে। চলতি আসরে যে তারা প্রায় প্রতিরোধ্য। মাঠে তাই পরিষ্কারভাবেই এগিয়ে থাকবে তারা। বড় কোন অঘটন না হলে বেলজিয়ামের জয় প্রত্যাশিত।
সম্ভাব্য স্কোর : বেলজিয়াম ২-০ জাপান।
অতিরিক্ত সংযোজন :
১) এর আগে জাপানের বিপক্ষে পাঁচবারের মোকাবেলায় মাত্র একটি জয় পেয়েছে বেলজিয়াম। ২০১৭ সালের নভেম্বরে লুকাকুর গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
২) ২০০২ বিশ্বকাপে জাপানের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের একমাত্র লড়াইটি হয় এ দুই দলের। আর তা ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল।
৩) শেষ সাত বিশ্বকাপের ছয়বারই নকআউট পর্বে উঠেছে বেলজিয়াম। ১৯৮৬ ও ২০১৪ এর পর এ নিয়ে তৃতীয়বার কোয়ার্টার ফাইনালের হাতছানি দলটির সামনে।
৪) নকআউট পর্বের ১১টি ম্যাচে কখনোই ক্লিন শিট রাখতে পারেনি বেলজিয়াম। এর মধ্যে ৮টিতে হেরেছে তারা। জয় মাত্র দু’টি। এছাড়া শেষ নয় লড়াইয়ের পাঁচটিই গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে।
৫) এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে সর্বোচ্চ ৯টি গোল দিয়েছে বেলজিয়াম। উরুগুয়ে ও ক্রোয়েশিয়ার সমান তিনটি ম্যাচে জয় পেয়েছে তারাও।
৬) শেষ ২২টি ম্যাচে অপরাজিত বেলজিয়াম। এরমধ্যে ১৭টি জয় ও ৫টি ড্র। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে শেষবার তারা স্পেনের কাছে ০-২ গোলে হেরেছিল তারা।
৭) ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের সঙ্গে শেষ ছয় লড়াইয়ের মাত্র একটি জিতেছে জাপান। এর মধ্যে পাঁচটি ম্যাচে তারা কোন গোলই করতে পারেনি। ২০১০ বিশ্বকাপে ডেনমার্কের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছিল দলটি।
৮) ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলার পর থেকে এক আসর পর পর তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলছে। ১৯৯৮, ২০০৬ ও ২০১৪ সালে তারা গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ে। আর ২০০২, ২০১০ ও ২০১৮ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার সুযোগ পায়। তবে কখনোই শেষ ষোলো পার হতে পারেনি।
Comments